|
|
|
|
নিখোঁজ কিশোরীকে পাওয়া গেল বিনপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হোম থেকে নিখোঁজ কিশোরীর অবশেষে খোঁজ মিলল বিনপুরে। রবিবার সকালে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন নামে একটি হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বছর পনেরোর কিশোরী পূজা সাহা। সোমবার সন্ধ্যায় বিনপুর বাজারে সন্দেহজনক ভাবে এক কিশোরীকে ঘুরতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে খবর দেওয়া হয় চাইল্ড লাইনকে। সেখানকার প্রতিনিধিরা চিহ্নিত করেন যে, ওই কিশোরী-ই হোম থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সোমবার পূজাকে ফের হোমে নিয়ে আসা হয়েছে। কয়েক দিন আগেই এই হোম থেকে ২ জন আবাসিক পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের অবশ্য এখনও খোঁজ মেলেনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাতে এলাকায় পূজাকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। তাকে প্রথমে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঘাটালের মহকুমা শাসকের নির্দেশে তাকে মেদিনীপুরের হোমে রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় পূজা নিজের নাম বললেও ঠিকানা বলতে রাজি হয়নি। তার নামের বিষয়েও নামের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই এই বিষয়ে পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্যরা। পুলিশও পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। প্রশাসন জানিয়েছে, সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে আর এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্যও পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। যদি প্রমাণিত হয় হোমের কর্মীদের মদতেই পূজা পালাতে পেরেছিল, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন।
হোম থেকে বারবার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা কেন ঘটছে সেই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। পূজার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে জবা বাগচি ও জ্যোৎস্না নাথ নামে ওই হোমের দুই কর্মীকে শো কজ করেছে সমাজ কল্যাণ দফতর। ওই রাতে তাঁরাই মেয়েদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও সমাজ কল্যাণ দফতর জানতে পেরেছে যে, তুলি নামে হোমের এক আবাসিক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন হোমের তালা খোলা। তখনও হোমের কর্মী জবা বাগচি আবাসিকদের সঙ্গেই হোমে ঘুমোচ্ছিলেন। ভেতরই ছিলেন অন্য কর্মী জ্যোৎস্না নাথও। পরের শিফটের কর্মীদের দায়িত্ব না দিয়েই সময়ের কিছুক্ষণ আগেই হোম থেকে বেরিয়ে যান জ্যোৎস্না। ফলে জ্যোৎস্নার দিকেই সন্দেহের তীর প্রশাসনিক কর্তাদের। হোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত বলেন, “তদন্তে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হবে। আমরাও তদন্ত করব। অন্যদিকে পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।” |
|
|
|
|
|