|
|
|
|
গডকড়ীর ইস্তফা চেয়ে এ বার সতর্কিত যশবন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাম জেঠমলানী, মহেশ জেঠমলানী, জগদীশ শেট্টিগার। এ বারে বেসুরো যশবন্ত সিন্হাও। নিতিন গডকড়ীর অপসারণের দাবিতে বিদ্রোহের সুর ভেসে উঠতেই ফের বিজেপি সভাপতিকে বাঁচাতে সক্রিয় হয়েউঠল আরএসএস। গডকড়ীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থামাতে প্রকাশ্যেই সতর্ক করা হল সিন্হাকে।
গডকড়ী-বিতর্ক কিছুটা স্তিমিত হতেই সংসদের অধিবেশন শুরুর ঠিক দু’দিন আগে সেটিকে প্রাসঙ্গিক করে তুললেন যশবন্ত সিন্হা। সংসদের রণকৌশল নিয়ে গডকড়ীর উপস্থিতিতেই লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে সকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিন্হা। সন্ধ্যায় ফের আডবাণীর বাড়িতে এনডিএ-র বৈঠকের আগেই বিবৃতি দিয়ে সিন্হা বলেন, ‘বিজেপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে অবিলম্বে গডকড়ীর ইস্তফা দেওয়া উচিত।’ এর পরেই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ গুরুমূর্তি গডকড়ীর সমর্থনে এগিয়ে আসেন। সন্ধ্যায় এনডিএ-র বৈঠকের পর দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়ানো হয়, সিন্হার এ ধরনের প্রকাশ্য মন্তব্য সঠিক বলে মনে করে না দল। তিনি যেন তাঁর মন্তব্য পুনর্বিবেচনা করেন।
গডকড়ী কাল দিল্লিতে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনে নামছেন। আর তার পর দিন থেকেই সংসদের অধিবেশনে দুর্নীতি থেকে খুচরো ব্যবসার মতো নানান বিষয়ে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। তার আগে আজ দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে গডকড়ীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সিন্হা। তবে শেষ পর্যন্ত তা না করে সংবাদসংস্থাকে একটি বিবৃতি দিয়েই ক্ষাম্ত হয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অতীতে অংশুমান মিশ্রকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিতর্কের সময়ও তিনি মুখ খুলেছিলেন। দল সেই সময় অংশুমানের টিকিট বাতিল করে। এ বারেও দল নিশ্চয়ই গডকড়ীকে সরিয়ে সঠিক পদক্ষেপ করবেন। রাম জেঠমলানী বিদ্রোহ ঘোষণা করার সময়েই জানান, যশবন্ত সিন্হাও একই মত পোষণ করেন। ফলে গডকড়ী ও সঙ্ঘ নেতৃত্বের কাছে যশবন্তের এই বিদ্রোহ ততটা আকস্মিক নয়। তাই সম্প্রতি গুরুমূর্তির দেওয়া ‘ক্লিনচিট’-এর ভিত্তিতে যে ভাবে গডকড়ীর সমর্থনে সংসদের দুই বিরোধী দলের নেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলিকে দিয়ে লিখিত সমর্থন আদায় করিয়ে নেওয়া হয়েছে, আজও এনডিএ বৈঠকে যশবন্তের বিরুদ্ধে দলকে একজোট করানোর সুযোগ পেলেন গডকড়ী। সঙ্ঘ নেতৃত্বও স্পষ্ট করেছেন, এ ধরনের বিদ্রোহকে আমল দেওয়ার অর্থ হয়না। কিন্তু জেঠমলানীদের বিদ্রোহের পরেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে আজ যশবন্তকে কিছুটা সতর্কই করা হল। বুঝিয়ে দেওয়া হল, প্রকাশ্যে ‘দল-বিরোধী’ কথা বললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। কিন্তু দলের মধ্যে গডকড়ী-বিরোধীরাও মনে করছেন, যশবন্ত বিদ্রোহ করলেন। অথচ সাংবাদিক সম্মেলন করে সেটিকে উচ্চগ্রামে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারলেন না। |
|
|
|
|
|