|
|
|
|
অনাস্থায় লাভ নেই, বোঝাবেন আডবাণী |
জয়ন্ত ঘোষাল • নয়াদিল্লি |
অনাস্থা প্রস্তাব আনলে হার নিশ্চিত, আর তাতে কংগ্রেসেরই সুবিধা হবে এমনটাই মনে করছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাড়াহুড়ো না করার অনুরোধ জানাবেন তিনি।
মমতা যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলেছিলেন, তখন তা সমর্থন করারই পক্ষে ছিলেন আডবাণী। কিন্তু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে তাঁর বক্তব্য, “আমরা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই হারার জন্য অনাস্থা এনে লাভ কি? এতে কংগ্রেসই প্রচারের সুযোগ পাবে যে, তারা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ।”
ফলে এখন অনাস্থা এনে যে লাভ নেই, সে কথাটাই তৃণমূল নেত্রীকে বোঝাতে চাইবেন আডবাণী। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস যে দেশ চালানোর অধিকার সম্পূর্ণ হারিয়েছে, মমতার এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আমরা তাঁকে বোঝাতে চাই, অনাস্থা প্রস্তাব তখনই আনা উচিত, যখন কংগ্রেসকে হারানোর ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমরা মমতার কাছে আবেদন জানাব, যাতে তিনি তড়িঘড়ি এই প্রস্তাব না আনেন।”
মমতা যেমন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলেছেন, তেমনই খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করে সংসদে আলোচনা চেয়েছে বামেরা। বিজেপি সূত্রের খবর, মমতা সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রস্তাবকে সমর্থন করার অনুরোধ করলেও আনুষ্ঠানিক ভাবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেননি। এমনকী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে ফোনে প্রাথমিক কথা বললেও প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি-র মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। অন্য দিকে বাসুদেব আচারিয়াকে দূত হিসেবে সুষমার কাছে পাঠিয়েছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।
মমতা না সিপিএম, কাকে সমর্থন করা হবে তা ঠিক করতে আজ বৈঠকে বসেছিল এনডিএ। আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুচরো বিক্রয়ে বিদেশি লগ্নি নিয়ে বিতর্ক হোক। গোটা দেশ সেই বিতর্ক শুনুক। ১৮৪ ধারায় ভোটাভুটির জন্য বিজেপি সংসদে চেষ্টা করবে। এটাই সংসদীয় রীতি। এ নিয়ে ভোটাভুটিতে হার হলে সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারাবে। অনাস্থা প্রস্তাবের সঙ্গে রাজ্য-রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন আডবাণী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের সঙ্গে মমতার রাজনৈতিক লড়াই আছে। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবটি রাজ্য-রাজনীতির বিষয় নয়। বিজেপি নেতা বলেন, মমতা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এলে ডিএমকে ভোটদানে বিরত থাকতে পারে। মুলায়ম সিংহ যাদব কী করবেন তা-ও স্পষ্ট নয়। সুতরাং অনাস্থার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়ো করে নেওয়া উচিত নয়। তাঁর মতে, সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে তৃণমূল আলোচনা করলে ভবিষ্যতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যাপারে বিজেপি চেষ্টা করতে পারে। |
|
|
|
|
|