পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়নি। অথচ ১২ কামরার ট্রেন চালানো শুরু করে দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে শিয়ালদহে।
৯-এর ‘সি’ প্ল্যাটফর্মটির কাজ এখনও চলছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ওই নির্মীয়মাণ প্ল্যাটফর্ম থেকেই ট্রেন চালু করায় বিপত্তি বেধেছে। প্ল্যাটফর্মের দু’প্রান্তেই অনেকটা এলাকা নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। প্ল্যাটফর্মের আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে লোহালক্কড়, বালির বস্তা, নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। ধুলো উড়ছে সব সময়ে। একটি ট্রেন ঢুকলে চোখমুখ চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাই রাতে তো বটেই, দিনের বেলাতেও ওই প্লাটফর্ম এখন যাত্রীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, তাড়াহুড়োয় ট্রেন ধরতে গিয়ে বা অফিসের ব্যস্ত সময়ে ট্রেন থেকে নেমে বিপদে পড়েছেন বহু যাত্রী। মঙ্গলবারেও এক মহিলা যাত্রী ওই প্ল্যাটফর্মে পড়ে জখম হয়েছেন। রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের চালকেরাও ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে আপাতত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। ট্রেনচালকদের বক্তব্য, পরিকাঠামোর কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ট্রেন চালু হওয়ায় এই বিপত্তি। যাত্রীরা সুবিধার বদলে অসুবিধায় পড়ছেন। |
দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে যাত্রীদের চাপ কমাতে দীপাবলিতে শিয়ালদহ ডিভিশন মোট ২৯টি ১২ কামরার ট্রেন চালু করেছে। মেন, বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখায় ওই ২৯টি ট্রেন চালানো হচ্ছে। তার মধ্যে ১৭টি মেন লাইনে আর বাকি ১২টি বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখায় ভাগ করে চালানো হচ্ছে। তখনই রেলকর্তারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ১২ কামরার ট্রেন চালানোর মতো পর্যাপ্ত প্ল্যাটফর্ম শিয়ালদহে নেই। এখনও তৈরি হয়নি উপযুক্ত পরিকাঠামো। শহরতলির অনেক স্টেশনেরও একই অবস্থা।
রেলকর্তারা জানান, শিয়ালদহে ১ থেকে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শুধু লোকাল ট্রেন চলে। বাকি ৫ থেকে ৯বি পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দূরপাল্লা ও লোকাল ট্রেনও চালানো সম্ভব। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেন বেড়ে যাওয়ায় বাকি প্ল্যাটফর্ম থেকে লোকাল ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এই অসুবিধা দূর করতে ১ (এ) প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। ৯ (সি) প্ল্যাটফর্মটিও তৈরির কাজ চলছে। ওই কাজ শীঘ্রই শেষ হবে। তখন আর যাত্রীদের অসুবিধা হবে না বলে আশা করছেন রেলের কর্তারা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সমীর গোস্বামী বলেছেন, “১২ কামরাই নয়, ২৪ কামরার দূরপাল্লার ট্রেনও যাতে চালানো যায়, তার জন্যই ৯ (সি) প্ল্যাটফর্মটিকে লম্বা করা হচ্ছে। তাতেই একটু সময় লাগছে।” |