কোচবিহার, মালদহ মাটির রানওয়ে, চরছে
গরু, স্বপ্নে উড়ান মন্ত্রীর
কটি বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশে গরু চরছে। অন্য বিমানবন্দরের রানওয়েটি মাটির তৈরি। সেটিকে বিমান চলাচলের উপযুক্ত করতে অন্তত দু’বছর লাগবে।
অথচ সোমবার কলকাতায় এক বণিকসভার অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নের যে-ফিরিস্তি দিলেন, তাতে উল্লেখ করলেন ওই দু’টি বিমানবন্দরের নামও। প্রথমটি কোচবিহার, অন্যটি মালদহ। ভারত চেম্বার অফ কমার্সের বার্ষিক সভায় পরিকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সড়ক ও বন্দরের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক বিমানবন্দর নিয়ে রঙিন স্বপ্নের ফানুস ওড়ালেন মন্ত্রী।
অথচ ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল সরকার রাজ্যের যে-সব বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছিল, তার কোনওটির কাজই এগোয়নি। কোথাও ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। কোচবিহারে বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগেই। এ দিন বণিকসভার অনুষ্ঠানে কোচবিহারে পবনহংস সংস্থার উড়ান চালু করার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ওরা হেলিকপ্টার চালায় বলেই সকলে জানেন। তবে ওরা ছোট বিমানও আনছে। কলকাতা থেকে বাগডোগরা ঘুরে কোচবিহার পর্যন্ত ছোট বিমান চালাবে ওই সংস্থা।”
পবনহংসের ওয়েবসাইট অবশ্য বলছে, তাদের হাতে ৪২টি হেলিকপ্টার থাকলেও এখনও পর্যন্ত একটিও ছোট বিমান নেই। সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। কোচবিহারে নতুন কোনও সংস্থা উড়ান চালু করতে চাইলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-র কাছ থেকে তাদের অনুমতি নিতে হবে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অনুমতি চেয়ে কোনও আবেদন জমা পড়েনি।
অমিতবাবু জানান, কোচবিহারের উড়ানকে ব্যবসায়িক ভাবে লাভজনক করতে পবনহংসকে উড়ানের আসন-পিছু ভর্তুকি দিতে পারে রাজ্য সরকার। এর আগে একই ভাবে ভর্তুকি দিয়েও কোচবিহারে উড়ান অব্যাহত রাখা যায়নি। লাভজনক না-হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা উড়ান বন্ধ করে দিয়েছে।
মালদহ বিমানবন্দর নিয়েও অর্থমন্ত্রী যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর বক্তব্য, ওই বিমানবন্দরে কিছু মেরামতির প্রয়োজন। সে-সব সেরে ফেললে মালদহ ছুঁয়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উড়ান চালানো সম্ভব। সে-ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে না বলেই তাঁর আশা। তাঁর মতে, কলকাতা-বাগডোগরা-কোচবিহার-মালদহ-কলকাতা, এটিই হতে পারে রুট।
ওই দু’টি বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের রিজিওনাল এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর মনোহরলাল লাকড়ার কথায়, “মালদহে আমাদের জমি থেকে জবরদখলদারদের তুলতে হবে। বিমানবন্দরের লাগোয়া উঁচু বেশ কিছু বাড়ির উচ্চতা কমাতে হবে। তা ছাড়া কিছু জমিরও প্রয়োজন। মাটির তৈরি রানওয়েটিকে উপযোগী করে তুলতে হবে।” যদি বুধবার কাজ শুরু হয়, তা হলেও ওই বিমানবন্দর চালু হতে কমপক্ষে দু’বছর লাগবে বলে জানান লাকড়া।
কোচবিহারে গত বছর দুর্গাসপ্তমীর দিন শেষ যাত্রী-বিমান উড়েছিল। তার পর থেকে এক বছরে সেখানে কখনও সেনাবাহিনী, কখনও বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার নেমেছে। বিমান না-নামলেও বিমানবন্দরের লাইসেন্স যাতে খোয়াতে না-হয়, সেই জন্য ১৪ জন কর্মী রেখে বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে লাকড়া জানান। কোচবিহার বিমানবন্দরের এক অফিসারের কথায়, “স্থানীয় লোকজন মাঝেমধ্যেই পাঁচিলের কোনও কোনও অংশ ভেঙে ফেলেন। গরু ঢোকে। রানওয়েতে দু’দিন গোবর পড়ে থাকলে বিটুমিন উঠে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের নিয়মিত গরু তাড়াতে হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.