অবশেষে আজ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চালু হচ্ছে এসএনসিইউ (সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট)। ২০০৯ সালে হাসপাতালে এই ইউনিটিটি খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ না হওয়ায় এতদিন তা চালু হয়নি। হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “মঙ্গলবার ওই ইউনিটটি চালু হবে। উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।” উদ্বোধনে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক ছাড়াও থাকবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ দফতরের উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য-কর্তারা। |
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল জনপদটি হুগলি, হাওড়া-সহ চারটি জেলার সীমান্ত। তাই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে শুধু এই মহকুমারই নয়, সংলগ্ন জেলাগুলির একাধিক গ্রামের বাসিন্দারাও ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখানে প্রতি মাসে গড়ে ৫৫০ জন প্রসূতি ভর্তি হন। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মাসে গড়ে ৫০০ শিশুর (সিজার ও সাধারণ) জন্ম হয় এখানে। এর মধ্যে গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ সদ্যোজাতকে উপযুক্ত চিকিৎসা-পরিকাঠামোর অভাবের কারণে অন্যত্র রেফারে বাধ্য হন চিকিৎসকেরা। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বাড়ির লোকেদের। পাশাপাশি মেদিনীপুর এবং কলকাতা ছাড়া শিশু চিকিৎসার সরকারি কোনও হাসপাতাল না থাকায় রোগীর বাড়ির লোকেরা একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিভাগটি দ্রুত খোলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ডেপুটেশন দিয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক সংগঠন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অবশেষে প্রাথমিক ভাবে আটটি শয্যা নিয়ে এই নতুন বিভাগটি চালু হচ্ছে। জন্ম নেওয়ার পর থেকে ২৮ দিন বয়সী শিশুদের এই বিভাগে চিকিৎসা করা হবে। পরে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে। আপাতত ইউনিটটি চালু হচ্ছে ঘাটাল হাসপাতালের শিশুবিভাগের চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও আরও চারজন মেডিক্যাল অফিসারকে নিয়ে। ইউনিটটি চালু হওয়ার দিন ঠিক হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্ট সকলেই। কারণ অস্ত্রোপচার ছাড়া সাধারণ যে কোনও রোগেরই চিকিৎসা এবার এখানেই সম্ভব হবে। হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হলেও এ দিন থেকেই রোগী ভর্তি করা হবে না। কারণ, ইউনিটটিকে জীবাণুমুক্ত করতে আরও তিন-চারদিন সময় লাগবে। তারপর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে।” |