|
|
|
|
অনিয়মের অভিযোগ |
নমিতেশ ঘোষ • শিলিগুড়ি |
প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ফর্ম বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ ওই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের যাদের এক বছরের প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষণের প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁদের নতুন করে প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। বাকিদের দুই বছরের (ডিএলএড) প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ ছাড়া ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারির পরে যারা নিযোগ হয়েছে তাঁদের এক বছরের প্রশিক্ষণ থাকলে এক বছরের ব্রিজ কোর্স করতে হবে। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় বিশেষ করে নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া সার্কেলে ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের পরে নিয়োগ হওয়া সমস্ত শিক্ষকদের মধ্যে ওই ফর্ম বিলি করা হয়েছে। ফলে প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত অনেক শিক্ষক এখনও ফর্ম পাননি। আজ, বুধবার ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই অবস্থায় তাঁদের চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি সার্কেলের কয়েকজন কর্মী দাবি করেছেন, তাদের কাছে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের পরে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা জানানো হয়। সে অনুযায়ী তারা ফর্ম বিলি করেছেন। সোমবার বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জরুরি বৈঠক করা হয়। সেখানে কয়েকজন শিক্ষককে ফর্ম দেওয়া হয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, কলকাতা শিক্ষা দফতর থেকে আরও ফর্ম আনানোর ব্যপারে চেষ্টা চলছে। শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তী বলেন, “সামান্য কিছু কাগজপত্রের ভুলের জন্য সমস্যা হয়েছে। তা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু ফর্মের প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় শিক্ষা দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ফর্ম পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। পাশাপাশি শিলিগুড়ির জন্য যাতে ফর্ম জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো যায় সে ব্যপারেও আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।” শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের একাংশের জন্য প্রশিক্ষণের জন্য সম্প্রতি নির্দেশ জারি করে শিক্ষা দফতর। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় গত বুধবার থেকে ফর্ম দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। েই জেলায় প্রায় ৮০০ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাঁদের মধ্যে ২০০ জন এখনও প্রশিক্ষণের ফর্ম পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নকশালবাড়ির এক প্রাথমিক শিক্ষক বিশ্বনাথ বলেন, “ফর্ম না পেয়ে জেলা শিক্ষা সংসদে অভিযোগ জানাই। এর পরে আমাকে একটি ফর্ম দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও অনেকে ফর্ম পায়নি।” প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলার আহ্বায়ক বিভাস চক্রবর্তী বলেন, “শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অনেকে ভয় পাচ্ছেন। কি কারণে এটা হল তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা প্রয়োজনে আন্দোলনে নামব।” |
|
|
|
|
|