বিদ্যাসাগর সেতুতে ট্যাক্সি থামিয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছিল পুলিশকর্মীদের। ট্যাক্সির ভিতরে রাখা তিনটি ব্যাগ প্রায় ১০ হাজার সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের ফোটোকপিতে ঠাসা। সঙ্গে রয়েছে গাদা গাদা পাসপোর্ট মাপের ছবি এবং মোবাইলের প্রায় ৪০০ সিমকার্ড। সেগুলি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, চন্দননগর থেকে আসা ট্যাক্সিটির দুই যাত্রী তার সদুত্তর দিতে পারেনি। পুলিশ জানায়, বিভিন্ন মোবাইলের দোকান থেকে সংগ্রহ করা ফোটোকপিগুলি দিয়ে নিজেরাই বিভিন্ন সংস্থার সিমকার্ড তুলে নেয় একটি চক্র। ওই দুই যাত্রী সেই চক্রের হয়েই কাজ করছে বলে পুলিশের অনুমান। কী ভাবে কাজ চালাত ওই চক্র? এই ঘটনায় এ-পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে পুলিশ জানাতে পেরেছে, নতুন ফোন-সংযোগের জন্য জমা দেওয়া প্রমাণপত্রের ফোটোকপি জোগাড় করত তারা। পরে সেই ফোটোকপি ও ছবি জমা দিয়ে নতুন ফোনের সংযোগ নিত। পুলিশ জানায়, যে-সব ভোটার কার্ডের ফোটোকপি আটক করা হয়েছে, সেগুলি বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকার। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, আটক করা সিমকার্ডগুলি ওই এলাকার নতুন ফোন-সংযোগের জন্যই জোগাড় করা হয়েছিল। সিমকার্ডগুলি কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তা জানতে মোবাইলের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
|
বিধায়ক পদে আজ, মঙ্গলবার ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবীর। কৃষ্ণেন্দু মালদহের ইংরেজবাজারের বিধায়ক। হুমায়ুন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা ইস্তফাপত্র জমা দেবেন বলে দুই বিধায়কই জানিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায় স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের ব্যাপারে কথাও বলেন হুমায়ুন। দলীয় নেতৃত্বের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই কংগ্রেস ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা বাধ্য হলেন বলে দু’জনেরই দাবি। অবশ্য এই দু’জন দল ছাড়ায় উদ্বিগ্ন নন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “এরা থাকায় কংগ্রেসের ক্ষতিই হয়েছে। ওরা চলে গেলে ওই এলাকাগুলিতে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে।” মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হুমায়ুন বলেন, “মন্ত্রী হলে রেজিনগরের উন্নয়নই হবে আমার প্রথম কাজ।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী অবশ্য বলেন, “বাহাদুরি উপনির্বাচনেই বোঝা যাবে।” কৃষ্ণেন্দুরও মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
|
প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষারও দিন বেঁধে দিল সংসদ |
উচ্চ মাধ্যমিকে কোন বিষয়ের প্র্যাক্টিক্যাল কবে হবে, তার দিন বেঁধে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এত দিন প্র্যাক্টিক্যালের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিত সংসদ। কোন বিষয়ের পরীক্ষা কবে হবে, স্কুলগুলিই তা ঠিক করে নিত। গত বছর কিছু স্কুলে প্র্যাক্টিক্যাল নিয়ে সমস্যার জেরে নতুন পরীক্ষা নিতে হয় সংসদকে। গোলমাল এড়াতেই এ বার বিষয়-ভিত্তিক প্র্যাক্টিক্যালের দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। সংসদের উপসচিব (পরীক্ষা) মলয় রায় সোমবার জানান, পদার্থবিদ্যা, পুষ্টিবিজ্ঞান ও মনস্তত্ত্বের প্র্যাক্টিক্যাল হবে ৪, ৫ এবং ৭ থেকে ১১ জানুয়ারি। রসায়ন, ভূগোল, হোম ম্যানেজমেন্ট এবং হোম নার্সিং পরীক্ষা হবে ১২ এবং ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি। অন্যান্য বিষয়ের প্র্যাক্টিক্যাল হবে ২১, ২২, ২৪, ২৫ এবং ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি। তিনি বলেন, “এত দিন নভেম্বরে শিবির করে প্র্যাক্টিক্যালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হত। এ বার ডিসেম্বরে যখন স্কুলগুলি এনরোলমেন্ট ফর্ম জমা দেবে, তখনই তাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে।”
|
আমলা-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক কাল |
সরকারের দেড় বছরের মাথায় কাল, বুধবার মন্ত্রী এবং রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন পদে থাকা আইএএস, আইপিএস-রা থাকবেন বৈঠকে। একসঙ্গে আইএএস এবং আইপিএস-দের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক এই প্রথম। ডাকা হচ্ছে সব জেলাশাসক এবং এসপি-কে। টাউন হলে বৈঠক বসবে সন্ধ্যা ৬টায়। মহাকরণের এক কর্তা জানান, বৈঠকের আলোচ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং উন্নয়ন। সম্প্রতি হলদিয়া বন্দর, দুবরাজপুর এবং তেহট্টের ঘটনার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। প্রায় সর্বত্রই বিভিন্ন ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে শাসক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নাম। উন্নয়নের ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী কালকের বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।
|
প্রাথমিকের মতো মাধ্যমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও দূরশিক্ষায় বিএড প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। সোমবার রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পরে তিনি বলেন, “কর্মরত ও নতুন মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।” খরচ হবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে এই টাকা দেওয়া হবে।
|
রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হচ্ছে। অন্তত ছয় নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। কাল, বুধবার দুপুর সওয়া ১টায় রাজভবনে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
|
বিভিন্ন দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে চতুর্থ শ্রেণির তিন হাজার কর্মী নেবে রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, ওই কর্মীরা মাসে মাসে থোক পারিশ্রমিক পাবেন। |