মুখ ঢাকলেই যেন অভিযোগ ঢাকা যায়। সোমবার কার্যত সেই চেষ্টাই দেখল বারুইপুর। সংঘর্ষের অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। সংবাদমাধ্যম তাঁর ছবি তুলতে যাওয়া মাত্র থানার দরজা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা।
|
বিভাস সর্দার |
বিভাস সর্দার নামে ওই কাউন্সিলর নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে বারুইপুর থানার শাঁখারিতলায় সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিভাসবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে সংবাদমাধ্যম থানায় তাঁর ছবি তুলতে গেলে দলীয় নেতার ছবি তোলা আটকান কর্মী-সমর্থকেরা। কাপড় দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় থানার দরজা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাসবাবু ও তাঁর দলবলের সঙ্গে ওই রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের ছেলেদের বচসা হয়। তা থেকে সংঘর্ষ বাধলে সাত জন গুরুতর জখম হন। বিভাসবাবু-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লোহার রড দিয়ে ক্লাবের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়। রাতেই গ্রেফতার তিনি। |
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত ও আট নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি ক্লাবের কালীপুজোর বিসর্জন নিয়ে বেশ কয়েক বছর মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণে সপ্তাহখানেক আগে বারুইপুর (পশ্চিম)-এর বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বৈঠক করে ওই দুই ক্লাবকে বিসর্জনের শোভাযাত্রা করতে নিষেধ করেছিলেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে এ দিন বারুইপুরে যান বিমানবাবু। তিনি বলেন, “দু’টি ক্লাবের ছেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
সোমবার বিভাসবাবু-সহ পাঁচ জনকে বারুইপুর কোর্টে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জামিন দেন। |