|
|
|
|
নাটক করে গ্রেফতার, মামলা দায়ের ব্রহ্মের স্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও ধুবুরি |
অস্ত্র উদ্ধারের ‘নাটক’ করে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক মনোকুমার ব্রহ্মের স্ত্রী রেণুপ্রভা দেবী। স্বামীর গ্রেফতারকারী এএসপি সুরজিৎ সিংহ পানেসরের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এ দিকে, পুনর্বাসন নিয়ে অসম সরকারের তৈরি ‘শরণার্থী-প্রশ্নপত্র’-র চারটি দফায় আপত্তি জানিয়ে বিপিএফ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, ১৯৭১-এর ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে শিবিরবাসীকে ঘরে ফেরানো হবে না। কোকরাঝাড় তথা বিটিএডি নিয়ে জটিলতা এ দিনও কাটল না। অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মালটা-আইএসআই চক্র আঘাত হানতে পারে বলে, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট পাঠালো কেন্দ্র।
ধৃত বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য মনোকুমার ব্রহ্মকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত তাঁকে রূপনাথ ব্রহ্ম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী রেণুপ্রভার দাবি, ‘‘পুলিশ সঙ্গে করে রাইফেল এনেছিল। সেগুলিই ঘরে রেখে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজায় তারা।’’
আজ রাজস্বমন্ত্রী পৃথ্বী মাঝি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী অকণ বরা কোকরাঝাড়ে গিয়েছিলেন। এ দিন ১১ ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়। স্কুলগুলিতে পরীক্ষাও শুরু হয়েছে এ দিন। কলেজগুলিতে ছিল স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। দুই মন্ত্রী জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই। পাট্টা থাকা শরণার্থীদের গ্রামে ফেরানোর কাজ গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে থমকে গিয়েছে। মন্ত্রীদের আশা, শীঘ্রই তা শুরু করা যাবে।
পাট্টাহীন শরণার্থীদের ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া কী হবে তা নিয়ে অবশ্য বিপিএফ-কংগ্রেস কাজিয়া চলছে। সরকার এ ব্যাপারে যে ১৮ দফা প্রশ্নাবলি তৈরি করেছে, তার ১৪টি প্রশ্ন বা শর্ত মেনে নিলেও চারটি শর্তে বিপিএফ একমত হতে পারেনি। বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বলেন, “১৯৭১ সালের ভোটার তালিকাই একমাত্র প্রমাণ হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী নন, কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশই বিপিএফ-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।” এ দিকে, বড়োভূমি ও নামনি অসমের অস্থিরতার সুযোগে ‘মালটা’ সংগঠন আঘাত হানতে পারে বলে রাজ্যকে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গিয়ে তাঁরা যে রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পেশ করেছেন, তা থেকে কেন্দ্রের ধারণা হয়েছে, ‘মালটা’র কিছু নেতা নামনি অসমে উস্কানি ও হিংসা ছড়াচ্ছে। সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য পুলিশ, সেনা, সিআরপি ও বিএসএফকে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। অন্যদিকে, ছাগলিয়ায় পেট্রোল পাম্পে গুলি চলার ঘটনার যে সিসি টিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বাইকে চেপে, একে সিরিজের রাইফেল নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। এই রাইফেল কোথা থেকে এল তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|