সেট-টপ বক্সে লাভ রাজ্যেরই, প্রমাণ দিল বেহালা
সেট-টপ বক্স বসলে যে রাজ্য সরকারেরই লাভ, তার হিসেব রয়েছে সরকারি দফতরেও। বেহালা অঞ্চল থেকে আদায় হওয়া রাজস্ব ইতিমধ্যে তার প্রমাণ দিয়েছে। তবু কেন রাজ্য এর বিরুদ্ধে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-র (ট্রাই) নির্দেশ মেনে ২০০৭ সালে বেহালা অঞ্চলে চালু করা হয়েছিল কন্ডিশনাল অ্যাকসেস সিস্টেম (ক্যাস)। তার সুফল পাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থ দফতর এখন টেলিভিশনে কেবল সংযোগ-পিছু বছরে যে ৪ কোটি টাকা রাজস্ব পায়, তার ৬৮ শতাংশই আসে বেহালা অঞ্চলের কেবল অপারেটরদের কাছ থেকে। সেট-টপ বক্স পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে, ৪২ লক্ষ টেলিভিশনের হিসেব ধরে এই অঙ্ক পৌঁছবে বছরে ৬০ কোটি টাকায়। কেবল ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, টেলিভিশন কেনা ও কেবল সংযোগ লাগানোর প্রক্রিয়াটি কখনওই ৪২ লক্ষে থেমে থাকবে না। এটা ক্রমশই বেড়ে চলে। রাজ্য সরকারের কেবল রাজস্ব আদায় বিভাগের এক হিসেব অনুযায়ী, ২০১৪-র মধ্যে মেট্রো এলাকায় ডিজিটাল সিগন্যালের লাইসেন্সপ্রাপ্ত চারটি বড় ও আরও ১০টি ছোট এমএসও-র মাধ্যমে ডিজিটাল সংযোগ হেতু সরকারের রাজস্ব আদায় হতে পারে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা।
প্রথম পর্যায়ে ‘ক্যাস’ চালুর সময়ে প্রশাসন ঠিক করেছিল, ৬ মাসের ব্যবধানে ধাপে-ধাপে গোটা শহরে ওই ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু বেহালা, ঠাকুরপুকুরের মতো আদিগঙ্গার দক্ষিণ-পশ্চিমের কয়েকটি এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও তা আর চালু করা যায়নি। বেহালার স্বপন মিত্র বা চৌরাস্তার দেবব্রত সমাদ্দারের মতো কেবল-অপারেটররা বলছেন, ডিজিট্যাল কেবল-পরিষেবায় সেট-টপ বক্স থাকলে গ্রাহকেরা নিজেদের বাজেট মতো পছন্দসই চ্যানেল দেখতে পারেন। স্বপনবাবু বলেন, “ক্যাস চালু নিয়েও টানাপোড়েন ছিল। ২০০৩ সালেই ওই পরিষেবা শুরু কথা ছিল মহানগরগুলিতে। চেন্নাইয়ে শুরু হলেও কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ে তা তখন চালু করা যায়নি।” তবে ক্যাস-আওতাভুক্ত এলাকাগুলিতেও এতদিন ফ্রি-টু-এয়ার চ্যানেল দেখার জন্য সেট-টপ বক্স নেওয়া জরুরি ছিল না। এ বার তা বাধ্যতামূলক হবে। ওই কেব্ল অপারেটরেরা জানান, ক্যাস-আওতাভুক্ত এলাকায় ৬০-৭০ শতাংশ বাড়িতেই আছে সেট-টপ বক্স। ডিজিটাল প্রযুক্তি চালুর আগে বাকি গ্রাহকদের কাছেও তা পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গেই ধরতে হবে কলকাতা মেট্রো এলাকার বাইরে জেলা শহরগুলিকেও। ট্রাই-এর সুপারিশ মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত, ২০১৬ সালের মধ্যে রাজ্যের জেলা শহরগুলিতেও পর্যায়ক্রমে ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে। সেই হিসেব ধরে বছরে প্রায় ৩০০-৩৫০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের অর্থ বিভাগের এই হিসেব জানা সত্ত্বেও সরকার কেন ডিজিটাইজেশনের বিরোধিতা করে চলেছে, এ প্রশ্ন তুলছে এমএসও এবং অনেক গ্রাহকও।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.