বাসভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বেসরকারি পরিবহণ শিল্পকে। শনিবার মহাকরণে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানালেন বাসমালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বাম আমলে বাসভাড়া নিয়ে রাজনীতি করা হত। এই আমলেও সেই রাজনীতিই হচ্ছে।
বাসভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে গত পনেরো দিনে দু’বার বিজ্ঞপ্তি জারির পরে সরকার জানিয়েছে, প্রতি ধাপে ১ টাকা করে ভাড়া বাড়বে। এ মাসের গোড়ায় ভাড়া বৃদ্ধির যে হার ছিল, শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তা কমানো হয়। এতেই মাথায় হাত বাসমালিকদের। এ দিন পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা সেই ক্ষোভের কথাই জানান।
পরে বাসমালিক সংগঠনের নেতা সাধন দাস ও দীপক সরকার বলেন, “এই ভাবে চললে বেসরকারি বাসের ব্যবসা পঙ্গু হয়ে পড়বে। রাস্তায় বাস পাওয়া যাবে না।”
তাঁদের কথায়, “ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে দূষণহীন নতুন বাস কেনা হচ্ছে। সেই টাকা শোধ করতে আমরা হিমসিম খাচ্ছিলাম। এখন এক টাকা করে বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হওয়ায় কোনও মতেই ওই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।” তাঁদের ক্ষোভ, “চার কিলোমিটার পথের ভাড়া বেড়েছে এক টাকা। আবার ২০ কিলোমিটার পথের ভাড়াও বেড়েছে এক টাকা! এরা সবই এক করে দিচ্ছে। এটা কখনও হতে পারে না।” মন্ত্রীর কাছে ভাড়া পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন বাসমালিকেরা।
গত চার বছরে ১১ বার ডিজেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালের পরে বাসভাড়া বাড়েনি। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রথম বাস ভাড়া বাড়াল। কিন্তু যে হারে ভাড়া বেড়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নন বাসমালিকেরা। তাঁদের দাবি, “এতে ব্যবসা বাঁচবে না।” |