স্কুলগাড়ি চালাতে হলে মালিকদের নাম-ঠিকানা এবং চালকদের সচিত্র পরিচয়পত্রের কপি অভিভাবকদের দিতে হবে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানালেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। শনিবার মহাকরণে স্কুলগাড়ি সংগঠনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি বলেন, লাইসেন্স ও পারমিট ছাড়া স্কুলগাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না। পরিবহণমন্ত্রীর হিসেবে, কলকাতা ও তার আশপাশে হাজার চারেক স্কুলগাড়ি চলাচল করে। তার মধ্যে মাত্র ১০০টি গাড়ি কর দেয়। কিছু স্কুলগাড়ি পুলিশকে টাকা দিয়ে রাস্তায় নামে। মদনবাবু বলেন, “ভ্যানরিক্শাকে জাল দিয়ে ঘিরে কিছু লোক শিশুদের স্কুলে নিয়ে যায়। আমরা সবাইকে বলছি, লাইসেন্স নিন। ভাল স্কুলগাড়ি রাস্তায় নামান। সমস্যা হলে মহাকরণে আসুন। আমরা সমাধান করব।” পরিবহণমন্ত্রীর এই কথার প্রেক্ষিতে ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক আবির রায় বলেন, “চালকদের সচিত্র পরিচয়পত্র বানিয়ে তার কপি অভিভাবকদের দিতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু নতুন সরকার আসার পরে কোনও সরকারি নির্দেশ ছাড়াই লাইসেন্স ও পারমিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এ দিনের বৈঠকে বিষয়টি আমি মন্ত্রীকে জানিয়েছি।” ২৯ নভেম্বর স্কুলগাড়ি সংগঠনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন মদন মিত্র।
|
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চলতি মরসুমে ধান কেনা শুরু করছে রাজ্য সরকার। শনিবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ কথা জানান। এ বার চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত মরসুমে সহায়ক মূল্যে কেনা ধান থেকে তৈরি ৩ লক্ষ মেট্রিক টন চাল গুদামে জমা রয়েছে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ওই চাল গুদামে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনুরোধ জানিয়েছে। আবার গত মরসুমের কেনাবেচা বাবদ রাজ্য সরকারের কাছে ৭৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে চালকলগুলির। আবার বর্ধমানের ২০টি ধানকল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ধান নেওয়ার পরেও সাড়ে আট হাজার মেট্রিক টন চাল রাজ্যকে দেয়নি। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর অভিযোগ, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। চালকলগুলির উপর নজর রাখতে খাদ্য দফতর দু’টি টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে। ধানকলগুলি কার কাছ থেকে ধান কিনছে, চাল তৈরি করে কোথায় বিক্রি করছে, সবের দেখাশোনা করবে তারা। |