ইডেনের আকাশ মেঘলা হলে কী হবে, তাঁর শিবির যাতে হতাশার মেঘে ঢাকা না পড়ে যায়, সে জন্য হাতে চোট পাওয়া সত্ত্বেও দলের ছেলেদের সঙ্গে খেলার শেষে মাঠে নেমে পড়লেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। রঞ্জিতে লড়াইয়ে ফেরার ম্যাচে গুজরাতকে ১৬৪-৬ করে দেওয়ার পরও দিনের শেষে ২৩০-৬! নিন্দুকেরা একেই অস্ত্র করে তোলার চেষ্টা করতে পারেন। তবে সেই অস্ত্রে যাতে দলের কেউ ঘায়েল না হন, মনোজ সেই চেষ্টাই শুরু করে দিলেন মেঘলা বিকেলে।
শনিবার বিকেলে বাংলা শিবির থেকে যে বার্তা বয়ে আনলেন দিনের সবচেয়ে সফল বোলার সৌরভ সরকার, তার সারমর্ম, গেল গেল রব তোলার কিছু নেই। রবিবার সকালে একটু দেরিতে ঘুম ভাঙার পর কলকাতা হয়তো দেখবে, জেগে উঠেছে মনোজবাহিনী। শুরু করে দিয়েছে পাল্টা মার। “কাল সকালেই তো আমরা নতুন বল হাতে পাব। সকালের আবহাওয়াটাও সাহায্য করবে আমাদের। তা হলে ওদের আর ৪০-৪৫-এর বেশি করতে দেওয়ার কোনও কারণ আছে বলে মনে হয় না আমার”, বললেন সৌরভ। |
শেষ দুপুরে মনপ্রীত জুনেজা ও রাকেশ ধ্রুবের ৬৬-র পার্টনারশিপ এবং তার আগে স্মিত ও পার্থিব পটেলের ৯৫ রানের যুগলবন্দিই গুজরাতের এই ইনিংসের মূলধন। কিন্তু সারা দিন ধরে সুযোগ নষ্টের যে পশরা সাজালেন বাংলার ফিল্ডাররা, তাকেই সিঁড়ি বানিয়ে দিনের শেষে এমন এক উচ্চতায় উঠল পার্থিবের দল, সব ঠিকঠাক থাকলে যেখানে যাওয়ারই কথা ছিল না তাদের।
দিন্দার বলে গালিতে স্মিতের পাঠানো ক্যাচ ছাড়লেন শ্রীবৎস। দিন্দার বলই আর একবার মিড অফে পাঠিয়ে সৌরভের হাতে জীবন পান তিনি। স্লিপে মনোজ ও কিপার ঋদ্ধির ভুল বোঝাবুঝিতে তাঁদের মাঝখান দিয়ে নীরজ পটেলের ব্যাট ছোঁওয়া বল উড়ে গেল একবার। মনপ্রীতের দেওয়া ক্যাচ ধরতে গিয়েই হাতে চোট পান মনোজ। যদিও তা গুরুতর নয়। কিন্তু কাজের কাজটা হয়নি। তবে রুজুল ভট্টকে ফেরাতে দ্বিতীয় স্লিপ থেকে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে ক্যাচটি নিলেন অনুষ্টুপ, তা যেন মরূদ্যান। স্টাম্পের পিছনে ঋদ্ধির হাতে ধরা পড়েন পার্থিব-সহ তিন গুজরাতি ব্যাটসম্যান। মোহালিতেও ফিল্ডিং ভুগিয়েছিল বাংলাকে। এ বার বোধহয় মনোজদের জন্য একজন ভাল ফিল্ডিং কোচ দরকার।
এমন পরপর ক্যাচ পড়তে থাকলে বোলারদের হতাশ হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। তাই এ দিন একবার বলে লাথিই মেরে বসলেন দিন্দা। তাও সৌরভ তিন উইকেট পেলেন। রবিবার সকালেও তিনিই ভরসা।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গুজরাত ২৩০/৬ (স্মিত পটেল ৬৭, পার্থিব পটেল ৬১, সৌরভ ৩/৫৭)। |