দেখে মনে হচ্ছে তিন নম্বরে পূজারা নন। তিনিই এতক্ষণ মোতেরায় ব্যাট করছিলেন ভারতীয় জার্সি পরে। ক্লান্ত, ধ্বস্ত এবং এনার্জিশূন্য রাহুল দ্রাবিড়-কে দেখে বোঝা গেল ইএসপিএন হিন্দি, ইংলিশ এবং বিবিসি রেডিও মিলে টানা সারা দিন ধারাভাষ্যের ঠেলায় তিনি একেবারে চুপসে। সাক্ষাৎকার দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। নিজের হোটেলের এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে সামান্য কথা হল তাঁর আনন্দবাজারের সঙ্গে। তারই ফাঁকে একটা এক্সক্লুসিভ খবর। ব্যাট হাতে শেষ বারের মতো তাঁকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। সৌরভের আইপিএল জীবন শেষ। তিনিরাহুল সামনের বছরটাও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলে ছাড়তে চান...
|
সারা দিন টিভি আর রেডিও বক্সের চাপ: ওরে বাবা ভয়ানক। প্রাণান্তকর লাগে সময় সময়। এর চেয়ে ভারতের হয়ে ব্যাট করা বোধহয় সহজ (ম্লান হাসি)।
ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্ব নেওয়া: খবরটা ঠিক নয়। আমি মোটেও এনসিএ-র দায়িত্ব নিচ্ছি না। আমাকে অনেকে জিজ্ঞেস করেছে। কোথা থেকে রটল জানি না। সত্যি নয়।
এখন জীবন: কয়েকটা ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রচারের কাজে জড়িয়ে রয়েছি। সেগুলোর অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠানের জন্য এ দিক ও দিক ঘুরতে হয়। তার বাইরে ছেলেরা। লেখার অফার একাধিক আছে। কিন্তু এখনই নিজের কলম শুরু করতে চাই না। আর একটু গুছিয়ে নিই। এত হুড়োহুড়ি করে আমি পারি না। লিখব, টিভি করব, প্রোমোশনে ছুটব। তা হলে আর রিটায়ার করলাম কেন? আঠারো বছর তো এই ব্যস্ততার লাইফই কাটিয়ে এলাম! |
আইপিএল সিক্সে শেষ দেখা যাবে এই দৃশ্য। |
আইপিএল: এ বারেরটা খুব সম্ভবত খেলব। খেলে শেষ করব পুরোপুরি। তখন লাইফটা একটু গুছোতে সুবিধেও হবে। হয়তো পরের বছর ফাঁকা হয়ে গেলে লেখালেখির কথা ভাবতে পারি।
টিভি কেরিয়ার: শুধু টেস্ট ম্যাচগুলো কমেন্ট্রি করব। ইডেনে আসছি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বা ওয়ান ডে ম্যাচগুলোয় কোনও মতেই নয়। |