সমস্যা সেই ইউরোপ এবং আমেরিকা। এক দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফের মন্দার কবলে পড়ার খবর, অন্য দিকে মার্কিন অর্থনীতিকে বাঁচাতে দেশের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার কর বৃদ্ধি ও খরচ কমানোর প্রস্তাব। এই দুইয়ের প্রভাব প্রথমেই এসে পড়েছে আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারগুলির উপর। টানা সাত দিন ধরে পড়ছে বিশ্ব বাজার। যার জেরে খাবি খাচ্ছে ভারতের শেয়ার বাজারও।
বৃহস্পতিবার সেনসেক্স পড়ে যায় ১৪৭.৫০ পয়েন্ট। এবং বাজার বন্ধের সময়ে থামে ১৮,৪৭১.৩৭ অঙ্কে। এই নিয়ে টানা ৫ দিনে সেনসেক্স পড়েছে ৪৩১ পয়েন্ট।
ইউরোপে মন্দার মেঘ জমছিল এক বছর ধরেই। আজ তাতে সরকারি শিলমোহর দিল আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে উৎপাদন সরাসরি কমেছে ০.১%। আগের তিন মাসে ০.২%। পরপর দু’টি ত্রৈমাসিকে এই সঙ্কোচন খাতায়-কলমে ফের মন্দার কবলে ফেলল ইউরোপকে। ২০০৯ সালের পর আরও এক বার।
জার্মানি এবং ফ্রান্সে ০.২% হারে আর্থিক বৃদ্ধি ঘটলেও তা টেনে তুলতে পারেনি গোটা ইউরোপকে। ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, সব ক’টি রাষ্ট্রের উৎপাদনই সঙ্কুচিত। আর, গ্রিস তো আগে থেকেই মন্দার গ্রাসে।
পাশাপাশি, আমেরিকায় কর বৃদ্ধি ও খরচ কমানোর প্রস্তাব নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে জোর বিতর্ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্তব্য করেছেন, ধনীদের উপর কর বাড়ানোর ব্যাপারটি রিপাবলিকানরা মানতে বাধ্য হবেন। এর জেরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে হিংসাত্মক বিক্ষোভ। আমেরিকার আর্থিক সমস্যা ফের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠায় শঙ্কিত ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। কারণ, তারা আয়ের মোটা অংশ রোজগার করে মার্কিন সংস্থাগুলির জন্য কাজ করেই। এ দিন ভারতে শেয়ার দর পড়ে যায় ইনফোসিস, টিসিএস, উইপ্রো ইত্যাদির।
বিদেশি সংস্থাগুলি অবশ্য টানা শেয়ার কিনে চলেছিল ভারতে। এ দিন তারাও শেয়ার বেচে দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতই তাদের পছন্দের শীর্ষে। ইউরোপ-আমেরিকার সমস্যা বাড়লে লগ্নির বিকল্প জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। |