একাধিক মামলায় অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে ডেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কালিয়াচক থানার বামনগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার সকালে গ্রামের পাশে এক আমবাগান থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের নাম মাবুদ শেখ (৩৪)। কংগ্রেসের দাবি, মাবুদ তাঁদের কর্মী ছিলেন। মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরীর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত নিবার্চনের আগে এলাকা দখল করতে মাবুদকে তৃণমূলের মদতে পুষ্ট দুষ্কৃতীরা খুন করেছে।” তবে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র জানান, ওই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, “খুনের পিছনে আমাদের কেউ জড়িত নয়। কংগ্রেসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল জানান, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পাহাড়পুর এলাকার এক ব্যক্তি সহ ৭ জনের নামে অভিযোগ মিলেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পাশাপাশি, পুলিশ সুপার জানান, নিহত মাবুদের বিরুদ্ধে খুন সহ নানা দুষ্কর্মের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার সুবাদে একাধিকবার জেলও খেটেছে মাবুদ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের নিজেদের মধ্যে পুরানো কোনও গোলমালের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতের মোবাইলের কল রেকর্ড পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ মাবুদ শেখের মোবাইলে এক ফোন আসে। সেই ফোন আসার পরই মোটর সাইকেল নিয়ে পাহাড়পুরের দিকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। নিহতের স্ত্রী সিতারা বিবির অভিযোগ, “আমার স্বামীকে টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে তৃণমূলের কিছু লোকজন। পুলিশ নাম জেনেও তাদের গ্রেফতার করছে না।” বুধবার সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল গ্রামে পুলিশ টহল চলছে। মোসিমপুর বামনগ্রাম এলাকায় অঞ্চল অফিস , মুন্সিপাড়া ও বামনপাড়া প্রাথমিক স্কুল মোট তিনটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। কারণ, এলাকায় দুষ্কৃতীদের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও খুনোখুনি রোখা যাচ্ছে না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। |