মেরামতের তিন মাসের মধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্ন মানের কাজের জন্য অল্প দিনের মধ্যে রাস্তার ওই দশা হয়েছে। খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈক দল। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া অবশ্য বলেন, “সম্প্রতি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে স্থায়ীভাবে সড়ক মেরামতের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে সড়ক বেহাল হওয়ার কথা নয়। কালীপুজোর পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বর্ষায় জেলার ইটাহার থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। ওই সময় পিচের চাদর উঠে সড়ক চষা জমিতে পরিণত হয়। তিন মাসে ১৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। প্রচুর বাস ও ট্রাক বিকল হয়। এর পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বাস মালিকদের টানা আন্দোলের চাপে সড়ক মেরামত করা হয়। জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “নিম্নমানের কাজের জন্য তিন মাসের মধ্যে সড়ক ফের বেহাল হয়েছে। রায়গঞ্জ, ইটাহার ও করণদিঘি এলাকায় রাস্তার পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ১০টি বাস বিকল হয়েছে। নভেম্বর মাসের মধ্যে সড়ক মেরামত করা না হলে জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের অভিযোগ, প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক মেরামত হয়। তিনি বলেন, “দলের তরফে জেলাশাসককে অবিলম্বে স্থায়ীভাবে সড়ক মেরামতের ব্যবস্থা করার আর্জি জানানো হয়েছে। সেটা না হলে আন্দোলনে নামা ছাড়া উপায় নেই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য অপূর্ব পাল বলেন, “নিত্য যাত্রীরা প্রতিদিন অভিযোগ জানাচ্ছেন। কালীপুজোর পরে সড়ক মেরামতের দাবিতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ জানান, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে দলের তরফে স্মারকলিপি দিয়ে স্থায়ীভাবে জাতীয় সড়ক মেরামতের দাবি করা হয়েছে। দ্রুত কাজ না হলে জেলাজুড়ে অবস্থান বিক্ষোভ হবে। |