১৩ নভেম্বর কালীপুজো থেকে টানা উৎসবের মরশুম। বৃহস্পতিবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, শুক্রবার বেলডাঙায় কার্তিক পুজো, শনিবার বেলডাঙার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কার্তিক লড়াই। তার সঙ্গী হয়ে হাজির জগদ্ধাত্রী পুজো। বেলডাঙা ভারত সেবাশ্রম সংঘ আয়োজিত জগদ্ধাত্রী পুজো হয় সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত। তাকে ঘিরে বেলডাঙার মনুষ মেতে ওঠেয় আর ওই সব উৎসবের দিনে মিষ্টির চাহিদা অতি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বেলডাঙা পুরসভা ও গ্রামাঞ্চলেও মিষ্টির কদর বেড়ে গিয়েছে। কি কি মিষ্টি মূলত বিক্রি হচ্ছে? রসগোল্লা, ছানাবড়া, পান্তোয়া, মিহিদানা, সন্দেশ, রাজভোগ, মনোহরা, সাগরিকা, তৃপ্তিভোগ, রসকদম্ব, বোঁদে, চিনির তৈরি বরফি, কালাকাঁদ, ক্ষীরকদম্ব, মাখা সেন্দেশ, ইত্যাদি। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী অসিত সাহা বলেন, “এটা টানা উৎসবের মরসুম। বাইরের মানুষ এসেছেন। ফলে মিষ্টির সামগ্রিক চাহিদা বেড়েছে।” কী কী মিষ্টি এ বার ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় নতুন? অসিতবাবু বলেন, “কাজু বরফি, শ্যামাভোগ, ক্রিমচপ, দিলখুস এ বছর নতুন আমাদের প্রতিষ্ঠানে। নতুন মিষ্টি আমাদের কতটা খুশি করে সেটাই আমাদের দেখার।” বেলডাঙার পুরনো মনোহরা, ক্ষীরের পান্তুয়া, বড় রসগোল্লার কদর কেমন? তিনি বলেন, “এ গুলোর একটা বাঁধা গ্রাহক আছে। বাইরে শুনে এসে অনেকে মনোহরা চায়। তবে ক্ষীরের পান্তুয়া ও বড় রসগোল্লার চাহিদাও চরম।” বেলডাঙার অন্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রতন পাল বলেন, “ভাইফোঁটার সকালে সাধারণত রকমারি মিষ্টান্নের সঙ্গে সিঙাড়া, খাস্তা গুটকি, নিমকি, চিনির তৈরি নানা রকমের মিষ্টিরও চাহিদা বাড়ে। সঙ্গে দই, মিহিদানা, বোঁদে, জিলিপির চাহিদাও থাকে।” বিয়ের পরে নতুন ভাইফোঁটা দিতে আসা ঐন্দ্রিলা সরকার বলেন, “এ বছর ভাইকে ফোঁটা দেব, বিয়ের পর প্রথম বার। তাতে মনোহরা, কলাই ডালের জিলিপি, ক্ষীরের পান্তুয়া, কাজু বরফি, ক্রিমচপ থাকছেই।” |