নিহত অশোক সেনের ছেলে পার্থ সেন বলেন, “বাবা সক্রিয় ভাবে কোনও রাজনীতি করতেন না। অবরোধেও বাবা ছিলেন না। তিনি গিয়েছিলেন বাজার করতে।” অশোকবাবু পেশায় ছিলেন ছুতোর মিস্ত্রি। তাঁর বুকে গুলি লেগেছে। আহত সুধাময় ঘোষকে প্রথমে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুধাময়বাবুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও গুলি পাওয়া যায়নি। ওই আঘাত বোমার হতে পারে বলে পুলিশের দাবি। আহত ব্যক্তিকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আনার পরে সেখানে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ভিড় করতে থাকে। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। জেলার বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক থেকে কর্মীরা সবাই ভিড় করতে থাকেন। |
কলকাতা থেকে শক্তিনগর হাসপাতালে পৌঁছে যান উদ্যানপালন ও খাদ্যপ্রক্রিয়া করণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। দুপুরে খবর পৌঁছয় যে, মুকুল রায় সেখানে যাবেন। তার পরই হাসপাতাল চত্বর তৃণমূলের দখলে চলে যায়। নিহতের বাড়ির লোকদের ঘিরে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। আহত ব্যক্তিকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ও সৎকারের আয়োজন পর্যন্ত সব বিষয়ই হাতে তুলে নেয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীর।
প্রশ্ন উঠছে, বুধবারে অবরোধের বিষয়টি কেন আরও বেশি গুরুত্ব গিয়ে দেখা হয়নি? প্রশ্ন উঠছে জেলা গোয়েন্দা দফতর ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আগাম সতর্ক ছিল কি না? জেলা গোয়েন্দা দফতরের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ওই এলাকার বিষয়ে সতর্ক করে একটি রিপোর্টও জেলা পুলিশের কাছে জমা পড়েছে। এখন প্রশ্ন, তা হলে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা ছাড়াই কেবল এস ডি পি ও-র নেতৃত্বে কেন পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয় ওই অবরোধ তুলতে। এখন প্রশ্ন, কি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে পুলিশকে গুলি চালাতে হল? জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। কি পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছে সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |