|
|
|
|
এবিজি-বিদায়: ফল নিয়ে এসসিআই কর্তা উদ্বিগ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এবিজি-কাণ্ড এ রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করলেন শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (এসসিআই) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সব্যসাচী হাজরা।
বুধবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সব্যসাচীবাবু বলেন, “কার দোষে এবিজি চলে গেল, সেটা আমি বলতে পারব না। আমি এই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এটাই বলতে পারি। এর ফল ভাল হবে না।” পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি যে বিনিয়োগ টানার পক্ষে আদৌ সহায়ক নয়, কার্যত সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মন্ত্রীরা এবিজি-র চলে যাওয়ার ঘটনাকে কোনও আমলই দিতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, হলদিয়ায় কিছুই হয়নি। এবিজি-কর্তাদের অপহরণের ঘটনাকে সাজানো বলেই প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল এবং সরকারের কেউ কেউ। শিল্পমহলের মত কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। একাধিক বণিকসভার মতে, এবিজি চলে যাওয়ায় রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এমনিতেই শিল্প ক্ষেত্রে রাজ্যের ভাবমূর্তি ভাল নয়। তার উপর এবিজি যে ভাবে চলে যেতে বাধ্য হল, তাতে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে শিল্পপতিদের সংশয় আরও বাড়বে। বন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দিয়েছে বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স। তাদের আবেদন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসুক কেন্দ্র।
এ দিন সব্যসাচীবাবুর কথায় শিল্পমহলের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল। তিনি বলেন, “বিনিয়োগ টানতে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। কাজেই শিল্প সংস্থাগুলি যাতে স্বাধীন ভাবে, নির্ভয়ে কাজ করতে পারে, সেটা রাজ্য সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।” |
|
|
|
|
|