যাই বলুন না কেন, এই সিরিজটা যদি ভারত সরাসরি না জিততে পারে, তা হলে তাকে হারের সমানই ধরতে হবে। কারণ, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারানোর এর চেয়ে ভাল সুযোগ আর পাবে না ধোনিরা।
সাম্প্রতিক কালে আটটি টেস্টের সব কটিতেই হেরে আসার পর ভারত সম্পর্কে এ কথা যত সহজে বলছি, ব্যাপারটা তত সহজ নয় ঠিকই, কিন্তু ওদের কোচের নাম যেহেতু ডানকান ফ্লেচার এবং সে যেহেতু একসময় ইংল্যান্ডেরই কোচ ছিল, তাই এই ভাবনাটা ভাবার চেষ্টা করা যেতেই পারে। ধোনিদের সঙ্গে সঙ্গে এই সিরিজে ফ্লেচারেরও বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় তারা কেমন ফল করে, তা নিয়ে আগ্রহ সারা ক্রিকেট দুনিয়া জুড়ে রয়েছে।
এই টেস্ট সিরিজে যে ধোনিদের পরীক্ষাই হবে, তা কিন্তু নয়। এই সিরিজটার ওপর নির্ভর করে রয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। ক্রিকেট যে ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছে, তা তো গত ৪০০ বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু লক্ষ করার বিষয় হল, আমাদের জীবনধারা যেমন ভাবে পাল্টাচ্ছে, তেমন ভাবেই পাল্টে যাচ্ছে ক্রিকেট। এখন এই স্কাইপ, স্মার্ট মোবাইলের যুগে, গতিময় জীবনে ক্রিকেটও পাল্টে গিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এসে ঠেকেছে। হয়তো আগামী ৩০ বছরে টেস্ট ক্রিকেটটা বেশ কিছু দেশ থেকে হারিয়েই যাবে। কিন্তু এটাই যে আসল ক্রিকেট, এটাই যে ক্রিকেটের আসল পরীক্ষা, সে আর ক’জন বুঝল?
তাও ভাল যে, ভারতের মতো কিছু দেশে এখনও টেস্ট ক্রিকেট দেখানোর জন্য টিভি সংস্থাগুলো টাকা ঢালছে। এর পর কী হবে কে জানে। গত দু’দশক ধরে দিন-রাতের টেস্টের জন্য চেঁচিয়ে আসছি আমি। সারা দিনের কাজের পর, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের পর লোকে যদি মাঠে গিয়ে টেস্ট দেখার সুযোগ পায়, তা হলেই তো তারা যাবে। এত দিন পর আইসিসি যে তা বুঝল, এটা ভাল। কিন্তু ব্যাপারটাকে ঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে না পারলে কিন্তু মুশকিল। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটের সমূহ বিপদ আসন্ন। |