|
|
|
|
জনসংযোগ বাড়াতে পশ্চিমে উদ্যোগী পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক দিকে মাওবাদী সঙ্কট। অন্য দিকে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী এলাকার মানুষের কুসংস্কার, সচেতনতার অভাব। দু’টি বিষয়ই মাঝেমধ্যে চরম বিড়ম্বনায় ফেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ-প্রশাসনকে। পুলিশের মতে, শুধু ধরপাকড় বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এর মোকাবিলা সম্ভব নয়। প্রয়োজন জনসংযোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যে জঙ্গলমহলে এ বার বড় আকারে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে পুলিশ। আর ডেবরা, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়-সহ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় হবে সচেতনতা শিবির। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “পুলিশি সক্রিয়তা তো রয়েছেই। তার সঙ্গে যদি সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছনো যায়, মানুষকে বোঝানো যায় কোনটা খারাপ, কোনটা ভাল, তাহলে ডাইন অপবাদে অত্যাচারের মতো ঘটনা কমবে বলে আমরা আশাবাদী।” পুজোর রেশ কাটলেই এই কাজে নামবে জেলা পুলিশ।
জেলায় মাওবাদী সক্রিয়তা এখন অনেকটাই থিতিয়েছে। তবে জঙ্গলমহল মাওবাদী-শূন্য এ কথা বোধ হয় বলা চলে না। মাওবাদী এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে আগেও ফুটবল প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য শিবির করেছে পুলিশ। এ বার বড় মাপের ফুটবল প্রতিযোগিতা করার পরিকল্পনা হচ্ছে। কেন? পুলিশ সুপারের কথায়, “মাওবাদী কার্যকলাপ কমে গিয়েছে এঠিক। তাই বলে একেবারে নেই কে বলতে পারে? মাওবাদী তো আলাদা কিছু নয়। মানুষের মধ্যেই মিশে রয়েছে। সুযোগ পেলেই ঘুরে দাঁড়ানোর
চেষ্টা করবে। তা নিয়ন্ত্রণ
করতেই জনসংযোগে গুরুত্ব দিতে চাইছি আমরা।”
ডাইন অপবাদে মারধর, এমনকী খুনের মতো ঘটনাও এই জেলায় ঘটে। সম্প্রতি দাসপুরে ডাইন অপবাদে তিন জনকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। ডেবরাতে তো প্রায়ই ডাইন অপবাদে অত্যাচারের ঘটনা ঘটে। কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আবার কিছু লোকচক্ষুর আড়ালে তেকে যায়। আদিবাসী সংগঠন মাঝি মাডওয়া জুয়ান গাঁওতার সম্পাদক প্রবীর মুর্মুর কথায়, “এখনও আমাদের সমাজে অসচেতনতার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এ জন্য সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। সরকার ও প্রশাসনকেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।” আদিবাসী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পিছিয়ে পড়া আদিবাসী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাই সচেতনতা শিবির করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|