মেদিনীপুরে বর্ধিত সভা, আসছেন বিমান-নিরুপম
লের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে মেদিনীপুরে আসছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপন সেনও। আগামী রবিবার ওই সভা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি জোনাল কমিটির সদস্যরাও সভায় যোগ দেবেন। থাকবেন বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতৃত্বও। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে ওই সভায় আলোচনা হতে পারে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “এটা সাংগঠনিক সভা।”
গত মে মাসে শেষ জেলায় এসেছিলেন বিমানবাবু। এসেছিলেন রাজনৈতিক প্রস্তাব, দলের রাজ্য সম্মেলন ও পার্টি কংগ্রেসের সাংগঠনিক রিপোর্ট এবং মতাদর্শগত দলিল নিয়ে আলোচনা করতে। এ বার আসেছেন পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে। সিপিএমের এক জেলা নেতা বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মতো জেলায় বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। জেলার পরিস্থিতি কী, দলীয় কর্মীদের কী করণীয়, এ সব নিয়ে আলোচনা হবে। নেতৃত্ব দিক নির্দেশ করবেন। আমাদের কাছে প্রতিটি নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।”
রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সভাস্থল ঠিক করতেও বেগ পেতে হয়েছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। সাধারণত, এমন সভা জেলা পরিষদের সভাগৃহেই হয়। কিন্তু, এ বার সেখানে সভা করার অনুমতি মেলেনি। সভাগৃহটি ওই দিনের জন্য আগে থেকে ভাড়া নিয়ে রেখেছে অন্য এক সংগঠন। এক সময় সিপিএম নেতৃত্ব ভেবেছিলেন, শহরের বিদ্যাসাগর হলে বা স্পোটর্স কমপ্লেক্সে সভা করা হবে। কিন্তু পরে সেই ভাবনা থেকেও পিছিয়ে আসতে হয়। শেষমেশ ঠিক হয়, মেদিনীপুর কলেজের সভাগৃহে দলের বর্ধিত সভা হবে। সেই মতো কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভাড়া বাবদ ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
এক সময় পশ্চিম মেদিনীপুর ছিল ‘লালদুর্গ’। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ‘দুর্গ’ অটুট রেখেছিল সিপিএম। জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ৬২টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই তাদের দখলে। তবে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পট পরিবর্তন হয়। জেলা জুড়েই প্রভাব বাড়ে তৃণমূলের। রাজ্যপাটে তৃণমূল আসারও দেড় বছর পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া সিপিএম। জিততে মরিয়া তৃণমূলও। সিপিএম সূত্রে খবর, এ বার ভোটের প্রস্তুতি পর্ব থেকেই সতর্ক ভাবে এগোতে চাইছে দল। প্রার্থী-তালিকায় শ্রেণি সামঞ্জস্য ধরে রাখার চেষ্টা হবে। বয়স্কদের পরিবর্তে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হবে। এক জেলা নেতা বলেন, “যাঁরা আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন, পরিস্থিতি দেখে তাঁদের অনেকেই আবার ফিরে আসছেন। তবে যাঁরা এখনও মনে করেন আমরা তাঁদের লোক নই, তাঁদেরকেও কাছে টানার চেষ্টা করছি। দলের সর্বস্তরে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি, বিভিন্ন কারণে যাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁদেরও সক্রিয় করে দলের কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন জেলা নেতৃত্ব।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই সময় দলের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে এসে তিনি কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.