|
|
|
|
গুরুমূর্তির টুইট সঙ্কট বাড়াল গডকড়ীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রক্ষকই মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় নিতিন গডকড়ীর সঙ্কট আরও বাড়ল।
আরএসএসের চাপে যাঁর ছাড়পত্রের ভিত্তিতে বিজেপি নিতিন গডকড়ীকে ‘কলুষমুক্ত’ ঘোষণা করেছে, সেই গুরুমূর্তিই গত কাল এক টুইটে ঘেঁটে দিয়েছেন সব। সঙ্ঘের চাপে সেই টুইট মুছে ফেলতে হলেও গোটা পর্ব একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে সঙ্ঘ ও বিজেপি উভয়ের অন্দরমহলেই গডকড়ীকে নিয়ে কোন্দল কতটা তীব্র।
গুরুমূর্তি কাল টুইটারে লিখেছিলেন, “নথিপত্র ঘেঁটে নিতিন গডকড়ীর সংস্থায় আর্থিক অনিয়ম না পেলেও (মানুষ হিসেবে) তাঁকে পুরোপুরি চেনেন না। তাই ব্যক্তি গডকড়ীকে কোনও ছাড়পত্র তিনি দেননি। তা ছাড়া, কোনও দলের সভাপতির ব্যবসায়িক স্বার্থ থাকা উচিত নয়।” যার অর্থ, ব্যবসায় জড়িত থাকায় বিজেপি সভাপতির পদে থাকা তাঁর উচিত নয় গডকড়ীর।
গুরুমূর্তি এই টুইট করা মাত্রই সঙ্ঘ ও বিজেপি-তে গডকড়ী-বিরোধী শক্তি উল্লসিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন স্বয়ং মোহন ভাগবত। চাপের মুখে ওই টুইট প্রত্যাহার করে নেন গুরুমূর্তি। সঙ্ঘের চাপে একটি চিঠিও লিখতে হয় গুরুমূর্তিকে। চিঠিতে তিনি বলেন, (চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে) পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গিতে তদন্ত করে গডকড়ীর সংস্থা সম্পর্কে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, অকারণে তাতে রাজনৈতিক রং চাপানো হচ্ছে।” সেই চিঠির ভিত্তিতে আজ গডকড়ীর নির্দেশে দলের মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “গুরুমূর্তি দলের সভাপতিকে ক্লিনচিটই দিয়েছেন।” বিতর্কের মোড় ঘোরাতে বিজেপি এ দিন রবার্ট বঢরার দুর্নীতি নিয়ে সনিয়া গাঁধীকে ও কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে মনমোহন সিংহকে আক্রমণ করে। বিরোধী শিবিরের এই অর্ন্তকলহে স্বাভাবিক ভাবেই উল্লসিত কংগ্রেস। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি এ দিন বলেন, “বিজেপি-র এ কী দশা! ওরা নিজেরাই শুনানি করছে। নিজেরাই বিচার করছে। নিজেরাই তদন্ত করে ক্লিনচিট দিচ্ছে। আবার নিজেরাই অভিযোগ তুলছে। এখন আবার নজর ঘোরাতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে!” |
|
|
|
|
|