|
|
|
|
মেঘালয় |
দুর্নীতির দায় অস্বীকার করলেন আমপারিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সিবিআই চার্জশিটে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন দশেক পরে মুখ খুললেন মেঘালয়ের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, আমপারিন লিংডো। তাঁর বক্তব্য, সিবিআই-এর বক্তব্য ও প্রধান সাক্ষী জে ডি সাংমার দাবি অসত্য। ২০০৮ সালে রাজ্যের নিম্ন প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৪৯ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞাপন বের হয়। আবেদন জমা পড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। ইন্টারভিউয়ের পরে, ২০০৯ সালে শিলং, আমলারেম, জোয়াই, তুরা ও দাদেংগিরি মহকুমায় মোট ৩৭৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল।
অন্য দিকে, সিবিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে ২৫৫ জন শিক্ষককেই বেআইনি পথে নিয়োগ করা হয়। ১০৭ পাতার তদন্ত রিপোর্টে সিবিআই বলছে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী আর সি লালু, স্পিকার চার্লস পাইরংপে, ডেপুটি স্পিকার সানবর সুলে, বনমন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং, জলসম্পদ মন্ত্রী এ এল হেক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী জে এ লিংডো-সহ অন্তত ১৫ জন মন্ত্রী, বিধায়ক নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর জন্য তদ্বির করেন। রিপোর্ট বলছে, তদানীন্তন প্রাথমিক ও জনশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা জে ডি সাংমা জেরায় স্বীকার করেছেন, তদানীন্তন শিক্ষামন্ত্রী আমপারিন লিংডোর নির্দেশেই পাঁচটি ইন্টারভিউ বোর্ডের জমা দেওয়া নম্বর বদলে দিয়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সাংমার বাড়ি ও দফতরে বসে, ইন্টারভিউ বোর্ডের পাঠানো নম্বর ও বয়সে কারচুপি ঘটানো হয়।
ঘটনাটি নিয়ে প্রথমে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন আমপারিন ও মুকুল। শেষ অবধি মুখ খুলে আমপারিন বলেন, “আমি কখনও আমার বিভাগের কোনও আধিকারিককে বেআইনি কাজ করার নির্দেশ দিইনি। গোটা তদন্তে একবারও আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি সিবিআই। আমার বিরুদ্ধে একমাত্র জে ডি সাংমা অভিযোগ তুলেছেন। যা ভিত্তিহীন। চক্রান্ত করে, আমায় ফাঁসিয়ে সাংমা নিজে বাঁচতে চাইছেন।” তাঁর মতে, এই ভাবে কোনও অসৎ অফিসার নিজে বাঁচার জন্য সোজা মন্ত্রীর উপরে দোষ চাপালে এবং সিবিআই চোখ বন্ধ করে তা বিশ্বাস করলে মন্ত্রীদের কাজ করাই সমস্যা।” আমপারিনের পদত্যাগ চেয়ে সরব বিরোধীরা। তিনি সেই দাবি উড়িয়ে বলেন, “বিরোধীরা সিবিআই তদন্তের বাকি দিকগুলি চাপা দিয়ে, কেবল আমায় সরাতেই ব্যস্ত। এ থেকেই ষড়যন্ত্রের চেহারা পরিষ্কার।” |
|
|
|
|
|