চলতি উৎসবের মরসুমে অবশেষে কিছুটা স্বস্তির আভাস। অক্টোবরে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে এল গত আট মাসে (ফেব্রুয়ারির পর থেকে) সবচেয়ে নীচে, ৭.৪৫ শতাংশে। সেপ্টেম্বরের হার ৭.৮১ শতাংশ। গত বছর অক্টোবরে এই হার অবশ্য ছিল আরও চড়া, ৯.৮৭ শতাংশ। রয়টার্সের এক সমীক্ষাতেও ৭.৯৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। |
পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা এই সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার বুধবার প্রকাশিত হলেও বিশেষজ্ঞরা অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন। কারণ, তাঁদের মতে মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও যথেষ্টই চড়া। একগুঁয়ে মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে তাই সে পথে না-ও হাঁটতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অপেক্ষা করতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পোৎপাদনকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই আর্জি জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে।
তা ছাড়া চাল, গম, ডাল, আলুর মতো খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ায় মানুষ কতটা স্বস্তি পাবেন, তা নিয়েও সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা। কারণ, বার্ষিক ভিত্তিতে আলুর দাম বেড়েছে ৪৯.১৩ শতাংশ, ডাল ২০ শতাংশ, চাল ১১.৪ শতাংশ। তবে শাক-সব্জির দাম কমেছে ৭.৪৫ শতাংশ, যার মধ্যে শুধু পেঁয়াজই সস্তা হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। সাধারণ ভাবে অক্টোবরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরের ৭.৮৬ শতাংশ থেকে কমেছে ৬.৬২ শতাংশে।
পাশাপাশি, শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমে যাওয়া ও রফতানির পতনের জেরে অর্থনীতির যে ম্লান ছবি দেওয়ালির আগের দিন ফুটে উঠেছিল, এ দিন পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি কমার খবর তার মধ্যেই কিছুটা রুপোলি রেখা। দেওয়ালির দিন মুরত লেনদেনে পড়েছে সেনসেক্সও। বেড়েছে বাজারে খুচরো দামের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধি। সেপ্টেম্বরের ৯.৭৩% থেকে বেড়ে তা হয়েছে ৯.৭৫%।
প্রসঙ্গত, দেওয়ালি উপলক্ষে বুধবার মুম্বইয়ে শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল, লেনদেন হয়নি সোনা-রুপোর বাজারেও। |