গুজরাতি নববর্ষ সম্বৎ ২০৬৯-এর মুরত লেনদেনই কি আগামী দিনে শেয়ার বাজারের গতিপ্রকৃতির ইঙ্গিত দিয়ে গেল? বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই অন্তত সেটাই মনে করছেন। মঙ্গলবার ছিল মুরত লেনদেন। এই দিন বাজারে উত্থান-পতন তেমন হয়নি। মুরতের ৭৫ মিনিটের বিশেষ লেনদেন শেষে সেনসেক্স ৫২ পয়েন্ট পড়েই দাঁড়িয়ে যায়। বাজার বন্ধেরসময়ে তা দাঁড়ায় ১৮,৬১৮.৮৭ পয়েন্টে।
অবশ্য লেন -দেনের শুরুতে সূচক কিছুটা উঠেছিল। প্রায় ৬০ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স ঠেকেছিল ১৮,৭৩২.৭১ অঙ্কে। কিন্তু অনিশ্চিত বাজারে মুনাফার টাকা তুলতে লগ্নিকারীরা শেয়ার বিক্রি শুরু করলে সূচক দ্রুত নেমে আসে।
দেশের আর্থিক অবস্থার মৌলিক উপাদানগুলি যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার ভিত্তিতে শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ আশাবাদী নন বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “এক দিকে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বৃদ্ধি, অন্য দিকে ইউরোপের আর্থিক অবস্থার উন্নতি না-হওয়া, এই দুটি বিষয় বিচার করলে অদূর ভবিষ্যতে শেয়ার বাজারের হাল ফেরার সম্ভাবনা কতটা আছে, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।” |
সস্প্রতি বিভিন্ন শিল্প সংস্থার চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল বেরিয়েছে। সেগুলির দিকে তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের শিল্প বাণিজ্যের হাল শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করার পক্ষে অনুকূল নয়। প্রায় প্রতিটি ব্যাঙ্কেরই অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। যা শিল্প বাণিজ্যের অবস্থার অবনতিরই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। তা ছাড়া আর্থিক সংস্কারের ব্যাপারে অনেক কিছু ঘোষণা করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এটাও শেয়ার বাজারে আর্থিক সংস্কার নিয়ে ক্রমশ হতাশা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ভারতের বাজারের উপর অবশ্য বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির আস্থা এখনও অটুট রয়েছে। মূলত ওই সব সংস্থার বিনিয়োগই ভারতের শেয়ার বাজারকে ধরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন অজিতবাবু।
এ দিকে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ (সি এস ই)-এর পক্ষে সুখবর, খুব শীঘ্রই সেখানে শুরু হতে চলেছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের ফিউচার ও অপশনের আগাম লেনদেন। এ নিয়ে গত সপ্তাহেই বিএসই-র অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে বলে জানান সিএসই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি মাধব রেড্ডি। এর আগে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ফিউচার ও অপশন লেনদেনের অনুমতিও পেয়েছে সিএসই। |