টুকরো খবর
হাজার টাকায় আয়োজন রাজবাড়ির পুজোয়
বাহারি আলো নেই। নেই মণ্ডপসজ্জার প্রতিযোগিতা। তবুও মালদহের চাঁচল মালতিপুরের কালীবাড়ির পুজোয় মগ্ন চাঁচল ও লাগোয়া এলাকার মানুষ। রাজবাড়ির পুজো বলে কথা! বয়স নেহাত কম নয়। প্রায় চারশো বছর ধরে একই নিয়ম মেনে ওই পুজোর আয়োজন চলছে। বাইরের পুজো যতই দেখুন না কেন পুজোর দিন এক বার মালতিপুরে আসতে ভোলেন না পূণ্যার্থীরা। রাজ আমলে পুজো করতেন কাশীধাম থেকে আনা পুরোহিতরা। পুজো হত টিনের তৈরি একচালায়। চাঁচল রাজপরিবারের লোকজন কালীপুজোর দিন হাতিতে চেপে হাজির হতেন মালতিপুরে। প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হত বোয়াল ও শোল মাছের ঝোল। খিচুড়ি খাওয়ানো হত সমস্ত প্রজাদের। এখন রাজা নেই। পুজোর আয়োজন করে ট্রাস্টি বোর্ড। বাজেট হাজার টাকা। ট্রাস্টি বোর্ড ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে স্থায়ী মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দারা ফুল ও আলোকমালায় সাজিয়ে তোলেন মন্দির। শুধু চাঁচল মহকুমার বাসিন্দা নয়, লাগোয়া দুই দিনাজপুর, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকেও বহু দর্শনার্থী আসেন। । চাঁচল রাজ পরিবারের আত্মীয় তথা অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁচলে এলে পুজো দিতে ছুটে যান মালতিপুরে। এখানে পুজো দিয়েছেন রাসমণিও। প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, চারশো বছর আগে পুজো শুরু নিয়ে রয়েছে রকমারি গল্প। তার একটি, ওই সময় রাজবাড়ি লাগোয়া ঠাকুরবাড়িতে কালী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে পুজোর আয়োজন করার জন্য আড়াই হাতের অষ্টধাতুর মূর্তি গড়তে দেওয়া হয় কাশীতে। বজরায় মূর্তি তুলে মহানন্দা নদী দিয়ে অধুনা চাঁচলের দিকে রওনা দেন রাজ পরিবারের কর্মীরা। ঘন জঙ্গলে ভরা মালতিপুরে রাত হয়ে যাওয়ায় কাছারিবাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন মাঝিরা। পরদিন অনেক চেষ্টা করেও ঘাট থেকে ৬ কিমি দূরে রাজবাড়িতে বজরা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেখানেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজোর আয়োজন হয়। সেই শুরু।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিবাদ কংগ্রেস-সিপিএমে
ট্রান্সফর্মারের হাতল নামিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও সিপিএমের বিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাগমারা এলাকায়। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেসের বুথ কমিটির সভাপতির স্যালো পাম্পসেট মেশিন ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগ উঠেছে, শনিবার রাতে খুঁটিতে কাজ করার জন্য ট্রান্সফর্মারের হাতল নামিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেন জিয়াউল হক নামে এক স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের একাংশ সেখানে গিয়ে জিয়াউলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য নুরুল হকও সেখানে যান। ওই সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। রাতেই স্থানীয় বাগমারা বুথ কমিটির কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ ইয়াজদানী সহ ৩ জনের নামে পুলিশে মারধোরের অভিযোগ জানান সিপিএম কর্মীরা। জিয়াউল হক তার বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ জানান। ভোররাতে সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে ৭ জন দলীয় কর্মী মহম্মদ ইয়াজদানীর স্যালো মেশিন ঘরে চড়াও হয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য নুরুল হক বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। গন্ডগোলের কথা শুনেই তা মেটাতে যাই। কেন হাতল নামানো হল তা জানতে চাইতেই সিপিএমের লোকজনকে মারধোর করা হয়। উল্টে আমার নামে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে।” কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মহম্মদ ইয়াজদানী বলেন, “গ্রামের মানুষের সুবিধার জন্যই খুঁটিতে আলো লাগানো হচ্ছিল। সেই জন্য বড়জোর ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তা নিয়ে সিপিএমের লোক গণ্ডগোল তৈরি করে।”

ঋণ নিয়ে আত্মঘাতী
প্রতিবেশীর থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সুদ শোধ দিতে না পারায় এক হাতুড়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার পতিরামের কদমতলির বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম মনোরঞ্জন রায় (৫৫)। তিনি পতিরাম বাজারে হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান চালাতেন। রোগীও দেখতেন। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পুলিশ উদ্ধার করেছে। বালুরঘাট থানার আইসি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “ওই নোটে মৃত মুদির দোকানি জয়দেব সাহাকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। মৃতের স্ত্রী অভিযুক্ত জয়দেববাবুর বিরুদ্ধে ঋণ আদায়ে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত জয়দেব সাহা পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” মৃতের স্ত্রী শিপ্রাদেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ঋণের ৫০ হাজার টাকা শোধ হলেও সুদের ৩০ হাজার টাকার জন্য জয়দেববাবু ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পলাতক জয়দেব সাহার আত্মীয়রা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অজ্ঞাতপরিচয় ২টি দেহ উদ্ধার
দুটি পৃথক ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় দু’জন যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে। শনিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জের কাশিবাটি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের শরীরের একাধিক জায়গায় গুলির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আনুমানিক বয়স ২৫ বছর। অন্য দিকে, রবিবার সকালে রায়গঞ্জের নুরিপুর এলাকার একটি রাস্তার ধার থেকে আর এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আনুমানিক ২৮ বছর বয়সী ওই যুবকেরও শরীরের একাধিক জায়গায় গুলির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে তুলে এনে ওই দুই যুবককে খুন করে পালিয়েছে। দুটি খুনের ঘটনা একই দুষ্কৃতী দল ঘটায় কি না তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতদেহ দুটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পাচারের চেষ্টা, ধৃত বাংলাদেশি
বর্ধমানের এক নাবালিকাকে ফুঁসলে দক্ষিণ দিনাজপুরে হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে। ধৃত সুদীপ্ত ঘোষের বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুর থানার গোপালগঞ্জে। নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ তার বর্ধমানের বাড়িতে খবর দিয়েছে। রবিবার ওই দুজনকে বালুরঘাটের আদালতে হাজির করানো হয়। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দিপালী শ্রীবাস্তব সিংহ অভিযুক্ত যুবককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিশোরীকে ১৯ নভেম্ভর পর্যন্ত সরকারি হোমে রাখার নির্দেশ দেন।” আদালতে সুদীপ্ত জানান, তিনি কিশোরীকে বিয়ে করে বাংলাদেশের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হিলি সীমান্ত চেকপোস্টে ওই দু’জনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। অনুপ্রবেশ সহ নাবালিকাকে ফুঁসলে অপহরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা রুজু করেছে।

নবোদয়ের স্কুল ভবন
জওহরলাল নবোদয় বিদ্যালয়ের নিজস্ব পাঠভবন গড়ার কাজ শুরু হল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। রবিবার শহরের উপকন্ঠে হোসেনপুর এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্কুলবাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পারোকেশ্বর নাথ শর্মা। দু’বছর ধরে নবোদয় স্কুলটি বালুরঘাটের মাহিনগর এলাকায় ১৩৬ পড়ুয়াকে নিয়ে অস্থায়ী ভাবে চলছে। দু’বছরের মধ্যে নিজস্ব স্কুলবাড়ি তৈরি করে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আবাসিক পাঠ্যক্রম চালু করা যাবে বলে অধ্যক্ষ পারোকেশ্বরবাবু আশাপ্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয় স্কুল তৈরির জন্য হোসেনপুর মৌজায় ৩৩ বিঘা জমি দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।

বিধায়কের কালীপুজো
মেপে সওয়া ১৯ হাত উঁচু প্রতিমা। বিরাট মণ্ডপ। দিনহাটা শহরে ওই পুজোর আয়োজন করেছে ‘নাম নেই’ সঙ্ঘ। শহরের সংহতি ময়দানে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। সমস্ত আয়োজনের তদারকি করছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ নিজে। তিনি নাম নেই সঙ্ঘের সভাপতি। বিধায়ক বলেন, “আয়োজনে খামতি থাকবে না। আশা করছি এ বারও পুজো ভাল লাগবে।” পুজো আয়োজকরা জানান, ১৯৭৫ সালে উদয়নবাবু কয়ে কজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সংহতি ময়দানে ওই পুজো শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে প্রতিমার উচ্চতা বেড়ে সওয়া ১৯ হাত হয়েছে। ছয় মৃৎ শিল্পী প্রতিমা গড়ছেন। শিল্পীদের একজন সত্য পাল বলেন, “এত বড় মাপের প্রতিমা তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। সেটা করতে ভাল লাগে।” পুজো ৩৮ বছরে পড়ল। রীতি মেনে পুজো হয় তান্ত্রিক প্রথায়। প্রতিমার সামনে পঞ্চমুন্ড আসনে বসবেন পুরোহিত। বাসিন্দারা রাত জেগে এখানে ভিড় করেন অঞ্জলি দিতে। দিনহাটার বাসিন্দাদের কয়েক জন জানান, পুজোয় সংহতি ময়দানে মেলা হয়। এ বারও মেলা হবে। সঙ্গে থাকবে সবলা মেলাও।

চাঁদা না-পেয়ে মার চালককে
কালী পুজোর চাঁদা না-দেওয়ায় ট্রাক চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুজো কমিটির সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকার কালীতলা-পালপাড়ায় শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ক্লাবের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এ দিকে জোর করে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে রবিবার সকালে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পুলিশ কর্তাদের আশ্বাসে ১০টা নাগাদ ওই অবরোধ উঠে যায়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “জুলুম করে চাঁদা আদায় বরদাস্ত করা হবে না। চালককে মারধরের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” যদিও ক্লাবের তরফে এ দিন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক মদন মণ্ডল বলেন, “চালকের কাছে জোর করে চাঁদা আদায় করার প্রশ্ন ওঠে না। চাঁদা আদায়কারীদের দেখে ওই চালক বেঞ্চ ভেঙে পালানোর সময় এক মোটরবাইক আরোহীকে ধাক্কা দেয়। ওই কারণে তাঁকে কয়েক জন চড় মারে।” খবর পেয়ে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ চালককে উদ্ধার করে।

দেহউদ্ধার
গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হল। রবিবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার বাগিচাপুর এলাকায়। নাম আব্বাস আলি (৫৫)। চা বিক্রেতা ওই ব্যক্তি শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.