|
|
|
|
সাবেকিয়ানা আর থিম নিয়ে লড়াই শিল্পাঞ্চলে |
বিতান ভট্টাচার্য • ব্যারাকপুর |
গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলই এখন কালীপুজো নিয়ে মাতোয়ারা। সাবেকিয়ানা, থিম সবকিছু নিয়েই মেতে উঠেছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
ব্যারাকপুর মণিরামপুরেই পুজোর সংখ্যা প্রায় ষাট। চারপাশে নজরকাড়া সব থিম। মণ্ডপ, আলোকসজ্জা দেখতে গঙ্গাপাড়ের এই অঞ্চলে ভালই ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। শিল্পাঞ্চলের কালীপুজো অবশ্য দুর্গাপুজোর মতোই চারদিনের। রাতভরই চলে প্রতিমা দর্শন। বয়েজ ক্লাব, খেয়ালি, ইউনিভার্স ক্লাব-সহ বেশ কিছু ক্লাব এ বার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বস্ত্র ও দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সরঞ্জাম দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। শ্যামনগর ও বীজপুরেও বেশ কয়েকটি বড় পুজো হয়। শ্যামনগরের শরৎপল্লি নেতাজি মিলন সংঘের পুজোর থিম গুজরাটের সোমনাথ মন্দির। কাউগাছি নবজাগরণ সঙ্ঘের উপহার বিবেকানন্দ রক। শ্যামনগর গভঃ কোয়ার্টার আবাসিক বৃন্দের থিম আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের গুহা।
নৈহাটির পুজো আবার একেবারেই সাবেকী। সবক’টি প্রতিমাই বেশ উঁচু এবং প্রায় একই ধরনের। পুজো হয় শাক্ত, বৈষ্ণব ও তান্ত্রিক মতে। বিজয়নগরের দেউলপাড়ার ২৯ হাত কালীই নৈহাটির সবচেয়ে বড় প্রতিমা। স্থানীয় হরিবালা ঘোষ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ৪৫ বছর আগে এই পুজোর প্রচলন করেন। বৈশিষ্ট্য হল, প্রতিমা তৈরি হয় মণ্ডপে আর বিসর্জন হয় দমকলের হোস পাইপের জলের তোড়ে। নৈহাটি স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে বড়মা’র পুজো এলাকারহ জাগ্রত পুজো হিসাবে খ্যাত। ৮৪ বছরের এই পুজোয় ২১ ফুট উঁচু ‘বড়কালী’র পুজো দিয়েই শুরু হয় নৈহাটি সব কালীপুজো। বিসর্জনের সময়ও বড়মা’র পরে অন্যান্য প্রতিমার বিসর্জন হয়। সোনা ও রুপোর গয়নায় সাজানো হয় বড়মাকে। অরবিন্দ রোডের সবচেয়ে পুরনো পুজোর প্রতিষ্ঠাতা অবশ্য বেচারাম সাধুখা।ঁ তাঁর নামেই পুজোর পরিচিতি বেচাকালী পুজো হিসাবে। ১০০ বছরের এই পুজো হয় সমস্ত সংস্কার মেনে। পাশেই কদমতলা কালীর ১৪ ফুট উচ্চতার প্রতিমার পুজো হয় তান্ত্রিক মতে। প্রথা মেনে পাঁঠা বলি হয়। নৈহাটির হকারদের পুজো ৫৬ বছরের হকার্স কালীর পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। পূজিতা হন ১৯ ফুটের গাঁজা কালী। অরবিন্দ রোডে একতা সংঘের পুজোয় বাঁশের মণ্ডপে থিম জীবন হোক আলোর মতো। গঙ্গার ঘাটের কাছে আওয়ার্স ক্লাবের পুজোর থিম গ্রামবাংলা। বিজয়নগরে নিউ স্টার ক্লাব হাজির করেছে শিবের দশাবতার। চট ও বাঁশের ছাল দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
সব মিলিয়ে কালীপুজোয় তৈরি শিল্পাঞ্চল। |
|
|
|
|
|