|
|
|
|
ক্ষোভ গাজীপুরে |
বিপজ্জনক সেতু, উদাসীন প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলপি |
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের গাজীপুর পঞ্চায়েতের সাতপুকুরিয়া খালের সামনামুনি ও দৌলতপুরের মধ্যে সংযোগকারী বাঁশের সাঁকো দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায়। প্রশাসনের কাছে সাঁকো সারানোর জন্য এলারা মানুষ বার বার দাবি জানালেও আজও পরিস্থিতি এখই থেকে গিয়েছে। অথচ স্থানীয় বেশ কিছু গ্রামের লোকজনকে যাতায়াতের সুবিধার্থে এই সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। |
|
এই সেতুর বদলেই পাকা সেতু চান স্থানীয় মানুষ। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ৮০ ফুট চওড়া সাতপুকুরিয়া খালের উপর লোহার বিম দেওয়া কংক্রিটের সেতুটি বছর তিরিশ আগে ভেঙে যায়। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা চাঁদা তুলে কাঠের পাটাতন দেওয়া সেতু তৈরি করে যাতায়াত করতে থাকেন। কিন্তু সেই সেতুটিও বছর পাঁচেক আগে ভেঙে গেলে বাসিন্দারা ফের নতুন করে কাঠের পাটাতন দিয়ে সাঁকো তৈরি করেন। কাঠের পাটাতন দেওয়া ওই সেতুটি বছর পাঁচেক আগে আবার ভেঙে যায়। যাতায়াতের প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দারা আবার বাঁশ ও পাট দিয়ে সেতু তৈরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাঁকো দিয়েই পারাপার করেন দৌলতপুর, সামনামুনি, চুনফুলি, কৃষ্ণরামপুর, গোয়ালবেড়িয়া, কালিকাপুর, হিমচি সহ আট-দশটি গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া দু’টি হাইস্কুল ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দৈনিক ওই সেতু দিয়ে পারাপার করেন। বর্তমানে কাঠের সেতুটির এমনই বিপজ্জনক অবস্থা যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তা ছাড়া রাতে কোনও আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর সেতু পার হতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে রাতে অসুস্থ কাউকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যার শেষ থাকে না। স্থানীয় বাসিন্দা নুরবক্ত পাইক, সাবিনা বিবি, মুনাফ পাইকেরা জানান, নির্বাচন আসলেই সব দলের নেতারা এসে সেতুটি নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রশাসনের কাছে বার বার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি।
কুলপির বিধায়ক তৃণমূলের যোগরঞ্জন হালদার বলেন, “সেতুটিকে পাকা করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। জেলা পরিষদ যাতে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ বিডিও সেবানন্দ পণ্ডা বলেন, “সেতুটি যাতে শীঘ্র করা যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|