|
|
|
|
তৃণমূল নেতা, কর্মী অপহরণে গ্রেফতার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দলেরই ব্লক কার্যকরী সভাপতি ও এক কর্মীকে অপহরণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শনিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার গড়সাফাত গ্রামে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। অপহৃত তৃণমূল নেতা সুব্রত মালাকার ও কর্মী চয়ন মাইতিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গড়সাফাত গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মীর মুজিবর রহমানকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। রবিবার মুজিবরকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল চলছে অনেক দিন ধরেই। শনিবার দুপুরে তৃণমূলের ময়না ব্লক কার্যকরী সভাপতি সুব্রত মালাকার ও কর্মী চয়ন মাইতি একটি মোটর সাইকেলে চেপে তমলুক থেকে ময়না ফিরছিলেন। দেড়টা নাগাদ কাঁসাই সেতু পার হওয়ার পর মীর মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে দলেরই কয়েকজন তাঁদের আটক করে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। |
|
তমলুকে দলীয় বৈঠকে মানস ভুঁইয়া ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। |
খবর পেয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিমান পণ্ডা ময়না থানায় যোগাযোগ করেন। থানায় তিনি অভিযোগ করেন, টাকা নেওয়া সত্ত্বেও প্রতিশ্রুতি মতো প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দিতে না পারায় সুব্রতবাবু ও চয়নবাবুকে আটক করে রেখেছে মীর মুজিবর রহমানের লোকেরা। মুজিবর-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সন্ধ্যায় ময়না থানার পুলিশ গড়সাফাত গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে অপহৃত দু’জনকে উদ্ধার করে। রাতে গ্রেফতার করা হয় পঞ্চায়েত সদস্য মুজিবর রহমানকে।
প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগ নিয়ে টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গে অবশ্য পরে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিমান পণ্ডা। তিনি বলেন, “দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি কোনও মন্তব্য করব না।” আর সুব্রতবাবুও দাবি করেন, “পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে দলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে স্থানীয় স্তরে কিছু সমস্যা হয়েছিল। তা নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি।” এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|