আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়নের তথ্য সংগ্রহে কংগ্রেস
ঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে অনুন্নয়ন ও সন্ত্রাসকেই হাতিয়ার করছে কংগ্রেস। তাই জেলায় জেলায় তথ্য সংগ্রহে জোর দিচ্ছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হলেও গ্রামের মানুষ উন্নয়ন পাচ্ছেন কিনা, কোথায় কোথায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে, কত জনকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, জেলা কংগ্রেস সভাপতিদের সেই তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস কমিটির বৈঠক ছিল শনিবার। বৈঠক শেষে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া বলেন, “তথ্য সংগ্রহের পর তা জেলা ও রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের দেখানো হবে। জানতে চাওয়া হবে, কেন্দ্র অর্থ দিলেও কেন উন্নয়নের গতি এত শ্লথ। বদলের পরেও কেন বদলার রাজনীতি হচ্ছে।” সাধারণ মানুষের কাছে সেই তথ্য তুলে ধরতে সভা ও পদযাত্রার কর্মসূচিও নিচ্ছে দল। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি না হলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে মানসবাবু মন্তব্য করেছেন।
রাজ্যপটে পরিবর্তন হলেও এই জেলার বেশিরভাগ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ সিপিএমের দখলে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বেশিরভাগ অর্থই খরচ হত ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। বর্তমান রাজ্য সরকার অবশ্য ত্রিমুখী পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে এড়িয়ে সরাসরি প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ করতে চাইছে। কিন্তু প্রশাসনের সেই পরিকাঠামো না থাকায় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়নি। এর তীব্র সমালোচনা করে মানসবাবু বলেন, “আগে সিপিএম কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট করেছিল। আর এখন নতুন সরকার কাজই করতে পারছে না।” পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রাখার অভিযোগ তুলে মানসবাবু বলেন, “পঞ্চায়েরাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়েই উন্নয়নের কাজ করতে হবে।” রাজনৈতিক স্বার্থে নিরীহ মানুষজনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলেও মানসবাবুর অভিযোগ। তাঁর মতে, দাঁতন, সবং ও ঝাড়গ্রাম মহকুমায় এই প্রবণতা সব থেকে বেশি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা জেলা নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতে শনিবার মেদিনীপুর কংগ্রেস ভবনে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। মানসবাবু ছাড়াও ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক কৃষ্ণা দেবনাথ। কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে জোট হবে না তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ফলে তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম তিনটি দলকেই মোকাবিলা করতে হবে কংগ্রেসকে। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রার্থী দেওয়া হবে, নির্বাচনের প্রচারে কোন কোন বিষয় উঠে আসবে, এফডিআইয়ের সমালোচনার জবাবে কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বলবেন, ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রেক্ষিতে কী ভাবে মহিলাদের দলে আনা যায়, সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই এমন বৈঠক হবে বলে মানসবাবু জানান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.