যা হওয়ার ছিল, তাই হল। অলৌকিক কাণ্ড ঘটিয়ে তিন পয়েন্টের স্বপ্নের অন্তর্জলী যাত্রা তো ঘটলই, উল্টে ইনিংস হারের ভূত এখন তাড়া করছে বাংলাকে।
সোমবারের মোহালিতে যদি সারা দিন না কাটানো যায়, তা হলে একরাশ লজ্জা নিয়েই দীপাবলির শহরে বাংলা ক্রিকেটারদের ঢুকতে হবে। কাজটা বেশ কঠিন। ঘাড়ে ৫৭৯ রানের জগদ্দল পাহাড় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই হারাতে হয়েছে ওপেনার শুভময় দাসকে। হাতে পড়ে ন’ উইকেট, শুধু ইনিংস হার বাঁচাতেই চাই আরও ২২৮ রান।
বাংলার কেউ কেউ এখনও আশাবাদী। মোহালিতে এখন পর্যন্ত যাঁর পারফরম্যান্স বাংলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল সেই লক্ষ্মীরতন শুক্ল (৬২ রান, ও ২-৬৫) বলছিলেন, “প্রাণপণ চেষ্টা করব। এক পয়েন্টও না আনলে সম্মান বাঁচবে না।” লক্ষ্মী বলছেন বটে, কিন্তু কতটা ভরসা করা যায় বাংলা ব্যাটিংয়ের উপর? ইডেনে রাজস্থানের বিরুদ্ধে তিনশো পার করা যায়নি। মোহালিতেও ভঙ্গুর দেখিয়েছে মিডল অর্ডারকে। তবু ব্যাটিংয়ে ঋদ্ধি-লক্ষ্মী ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করেছেন। বোলিংয়ে কোনও ‘ঋদ্ধি’ পাওয়া গেল না। রবিবারের বাংলা বোলিং যেন শনিবারের ‘অ্যাকশন রিপ্লে’। অশোক দিন্দার (১-১০৭) সুনাম ধাক্কা খেল। ভাল স্পিনারের অভাবের ছবি বেরিয়ে এল অর্ণব নন্দীর বোলিংয়ে (১-১২২)। পঞ্জাবের তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করে গেলেন।
খারাপ বোলিং যে হয়েছে, দলের সেরা পেসার দিন্দা যে ছন্দে ছিলেন না, মেনে নিচ্ছে বাংলা শিবির। কিন্তু একই সঙ্গে বড় ক্যানভাসে উঠে আসছে জিয়নজোৎ সিংহকে ফস্কানো। শনিবার লক্ষ্মীর বলে জিয়নজোতের ক্যাচ ছাড়েন শুভময়। পঞ্জাব ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত থামলেন ১৫৮ করে। লক্ষ্মী বলছিলেন, “যুবরাজ, হরভজন ছাড়াই যে ওরা এত মারাত্মক হয়ে উঠবে, ভাবা যায়নি।”
রেকডর্বুকে কিন্তু ইঙ্গিত ছিল। ভিভিএস লক্ষ্মণের টিমকে তো তাদের ডেরায় গিয়ে ইনিংসে উড়িয়েছিল জিয়ানজোৎদের এই পঞ্জাব।
|