পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোও জরুরি। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্য খেলাতেও সমান নজর দিতে হবে। মেদিনীপুর এসে এ কথা জানালেন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারু মাসাদুর রহমান বৈদ্য। শনিবার শহরে শুরু হয় রাজ্য সাঁতার প্রতিযোগিতা। স্কুল স্পোটর্স কাউন্সিলের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার ডাইভিং ও ওয়াটার পোলো এই দু’টি বিভাগের প্রতিযোগিতা মেদিনীপুরে হয়। তারই উদ্বোধনে শহরে এসেছিলেন মাসাদুর।
অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দী প্রমুখ। মাসাদুর বলেন, “সাঁতার কাটলে শরীরের ৮০ শতাংশ রোগ দূর হয়ে যায়। প্রাথমিক থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলো করতে হবে। তাতে শরীর-মন ভাল থাকবে।” তারপর খানিকটা অভিমান নিয়েই তাঁর বক্তব্য, “এ বার অলিম্পিকে আমাদের দেশ ৫৫তম স্থান পেয়েছে। যদি শুধু ক্রিকেটে নজর দিই, তাহলে ৪-৫ বছর পর হয়তো ১১০তম স্থান পাবে। আমাদের উচিত, অন্য খেলাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া।” মাসাদুরের প্রশংসা করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। তাঁর কথায়, “ওঁকে দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হই। ইচ্ছে থাকলে প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের ক্ষেত্রে কোনও বাধা হতে পারে না।” আরও বলেন, “মাসাদুর বলছিলেন, উনি বছর দুয়েক আগেও মেদিনীপুরে এসেছিলেন। তখন পরিস্থিতি এক রকম ছিল। রাস্তায় উর্দিধারী পুলিশ ঘোরাফেরা করত। এখন পরিস্থিতি অন্য রকম। শান্তি ফিরে আসার কৃতিত্ব জেলাবাসীর। মানুষ সব সময় আমাদের পাশে থেকেছেন। সহযোগিতা করেছেন।” |
স্কুল স্পোটর্স কাউন্সিলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার এ বার ৫৮ তম বর্ষ ছিল। মেদিনীপুরে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন এই প্রথম। ডাইভিং এবং ওয়াটার পোলো- এই দু’টি বিভাগে ৭ টি জেলার প্রায় ১৩০ জন প্রতিযোগিতা যোগ দেন। মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাবেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যে ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, তা দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেন স্টেট স্কুল স্পোটর্স কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। কাউন্সিলের এক আধিকারিকের কথায়, “এমন প্রতিযোগিতার ফলে জেলার সাঁতারুরাও উৎসাহিত হবেন।” রবিবার ছিল প্রতিযোগিতার শেষ দিন। ডাইভিং এবং ওয়াটার পোলো দেখতে উৎসাহী মানুষ সুইমিং ক্লাবে ভীড়ও করেন। স্কুল স্পোটর্স কাউন্সিলের জেলা চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “সমস্ত কিছুই সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকলেই সহযোগিতা করেছেন। আশা করি, আগামী দিনেও মেদিনীপুরে এমন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।” |