প্রথম টেস্টে নামার আগে তিনটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ, অর্থাৎ ১১ দিনের ম্যাচ প্র্যাক্টিস, ব্যাপারটা তারা বেশ কাজে লাগিয়ে নিতে পেরেছে বলে মনে করছে ইংল্যান্ড শিবির। তাই ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অনুশীলন না পেলেও ব্যাটসম্যানরা যে সময়টুকু ক্রিজে কাটিয়েছেন, টেস্টে তার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে বলে ধারণা অ্যালিস্টার কুকের।
“প্রস্তুতি ম্যাচে আরও বেশি এবং ভাল স্পিনারদের সামলানোর সুযোগ পেলে মন্দ হত না। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা এই ক’দিনে যা প্র্যাক্টিস পেয়েছে, তা খারাপ নয়”, রবিবার তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের শেষে বললেন ইংরেজ দলনেতা। রবিবার মোতেরায় যখন নিজেদের প্রস্তুতি শেষ করলেন ইংরেজরা, তখনই মুম্বইয়ে নিজেদের প্রস্তুতি শিবিরে ইতি টানলেন ধোনিরাও। ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র স্পিনকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর ব্যাপারে ধোনিরা বরাবরই বেশ উদ্যোগী। প্রথমে বোর্ডের কাছে স্পিন সহায়ক উইকেট চাওয়া ও পরে প্রস্তুতি ম্যাচে কুকদের সে রকম উইকেট না দেওয়া এবং উপরন্তু দেশের সেরা স্পিনারদের তাঁদের কাছে থেকে দুরে সরিয়ে রেখে ভারত এটাই পরিষ্কার করে দিতে চেয়েছে যে, স্পিন অস্ত্রেই তাদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা ছকে রাখা হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও একেবারে অঙ্ক কষে ব্যবহার করা হয়েছে স্পিনারদের। যেমন মোতেরায় হরিয়ানার সেরা স্পিনার অমিত মিশ্রকে দ্বিতীয় ইনিংসে বলই দেওয়া হল না। এটা আগের দুই ম্যাচেও লক্ষ্য করেছেন কুকরা। বুদ্ধিমান দলনেতা তা বুঝতেই পেরেছেন। এ দিন তা বুঝিয়েও দিলেন, “এই ম্যাচে মিশ্রকে দিয়ে যেভাবে বোলিং করানো হল, তাতে একটা পরিষ্কার বার্তা রয়েছে। তবে তাতে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা আমাদের মতোই খেলব।” ফিন ও ব্রডকে নিয়েও অযথা ঝুঁকি নিতে নারাজ কুক। “ওরা একশো শতাংশ ফিট না হলে ওদের মাঠে নামানোর ঝুঁকি নেব না। এখানকার উইকেট ও আবহাওয়া অনুযায়ী এমনটা করা ঠিক হবে না।” |