কালীপুজোর রাতে ‘শব্দদৈত্যদের’ ঠেকাতে কোমর বেঁধে নামছে কলকাতা পুলিশ।
প্রতি বছরই কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির তাণ্ডবে নাজেহাল হন শহরবাসী। গত বছর খোদ কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সামনেই যাদবপুর-গড়িয়ায় দেদার ফেটেছিল শব্দবাজি। বাদ যায়নি বি সি রায় শিশু হাসপাতালও। অতিষ্ঠ শহরবাসীদের নিস্তার দিতে এ বার তাই বেশ কিছু নয়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তাতেও শেষরক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে সাধারণ মানুষ। পুলিশের একাংশও জানিয়েছে, এর মধ্যেই শহরে প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢুকে পড়েছে। পুলিশের নাকের ডগাতেই আতসবাজির আড়ালে দেদার বিকোচ্ছে শব্দবাজি।
পুলিশ জানায়, শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে শহরের ৬৫টি থানা এলাকায় প্রায় ২০০টির বেশি বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া, প্রতিটি থানাতেই পাঁচ-সাতটি করে দল তৈরি করা হচ্ছে। নজরদারি চালানো হবে মূলত মোটরসাইকেল এবং অটোয়। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, অটো ও মোটরসাইকেল থাকলে শহরের গলিঘুঁজিতেও সহজেই ঢুকতে পারবে পুলিশ। লালবাজার থেকে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হচ্ছে। গুরত্বপূর্ণ এলাকায় থাকছে ‘রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড’। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিম বলেন, “কালীপুজোর রাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঠেকাতে এ বার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। এ জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।”
কালীপুজোর রাতে প্রতি বছর বহুতলগুলিতেই সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। তাই শহরের বেশ কিছু বহুতলের ছাদে থাকবে পুলিশ। গত কয়েক বছরে যে সব বহুতলের বিরুদ্ধে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ বেশি ছিল, মূলত সেখানেই পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে। বহুতলের বাজি ফাটানো ঠেকাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যে সব বহুতলের ছাদে পুলিশ থাকবে না, সেই সব আবাসন-কর্তৃপক্ষকে শব্দবাজি বিষয়ে সতর্ক করছে পুলিশ।
শব্দবাজি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টাও চলছে। এ জন্য সোনারপুর থানার মোড় থেকে হরিনাভি পর্যন্ত বাসিন্দাদের নিয়ে সচেতনতা মিছিল করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি। |