পুজোয় মাততে তৈরি দুই জেলা
হুগলির পাণ্ডুয়ায় জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে কালীপুজো হয়। জেলার অন্যত্রও কালীপুজোর আনন্দে মাতেন মানুষ। বারোয়ারির পাশাপাশি বহু বাড়িতেও পুজো হয়। সব জায়গাতেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
শ্রীরামপুরের বল্লভপুর সর্বজনীন শ্মশানকালী পুজোর এ বার ১৬৩ তম বর্ষ। স্থায়ী মন্দিরে মায়ের আরাধনা হয়। সারা বছর ধরেই ভক্তেরা আসেন। কালীপুজোর কয়েক দিন ভিড় সামলাতে হিমসিম খান উদ্যোক্তারা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, অন্য জেলা থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে চলে আসেন। কর্মকর্তাদের তরফে আলোকরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। ভক্তদের স্বেচ্ছায় দেওয়া চাঁদাতেই মায়ের পুজো হয়। এক সময় দেড়শোর বেশি ছাগল বলি হত। এখন অবশ্য পশুবলি হয় না। তার বদলে ফল বলি হয়। সারা বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়।
শ্রীরামপুরের চাতরা হরিসভা এলাকায় মুখার্জিবাড়ির ৪৭ বছরের পুরনো। গত ১২ বছর ধরে অবশ্য পুজো বন্ধ ছিল। এ বার ফের পুজো চালু হচ্ছে। পরিবারের তরফে সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রীতি মেনেই পুজোয় হোম হবে। পুজোর সন্ধ্যায় ভক্তিগীতি পরিবেশিত হবে। তিনি বলেন, “আগে ছাগবলির প্রচলন ছিল। এ বার থেকে অবশ্য পশুবলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পাণ্ডুয়ার মণ্ডপ। ছবি: তাপস ঘোষ।
নেহেরুনগর রেটের ঘাটের মণ্ডপটি নজরকাড়া। কোন্নগর ছোট বহেরার প্রগতি সঙ্ঘের পুজো ভাবনায় তুলে ধরা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘হাট’। চণ্ডীতলার কাপাসহাড়িয়ার বাগদেব মোড়ে লগন ক্লাবের পুজোয় উঠে এসেছে ‘বাল্মিকী মুনির আশ্রম’। মণ্ডপে থাকছে জীবন্ত ঘোড়া, বাঁদর। অভিনয়ের মাধ্যমে লব-কুশের চরিত্র দেখানো হবে।
জাঙ্গিপাড়ার রহিমপুরের নবগ্রামের ধীরবালা সমাজ শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালিত ‘সন্ধানী’র কালী পুজোতে জাঁকজমকের অভাব নেই। এখানে স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়। পুজোকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ বার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পড়ল। পরিবেশিত হবে বাউল, ভক্তিগীতি। পর দিন থাকছে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, শ্রুতিনাটক, নাচ-সহ নানা অনুষ্ঠান। পরের দু’দিন আরও অনেক সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ হাওড়াতেও কালীপুজোর আয়োজনে খামতি নেই। দেড়শো বছরে পড়ল বাগনানের হারোপ গ্রামের ঘোষাল পরিবারের কালীপুজো। দুর্গাপুজোর দিনে মাটি তুলে রাখতে হয় কালী প্রতিমা তৈরির জন্য। এক সময়ে কামানের শব্দে পুজো শুরু হত। সে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও, পুজো মণ্ডপে জ্বলত ঝাড়বাতি, বসত যাত্রার আসর।
এ সবও এখন নেই। তবুও আলোকসজ্জা, বাজনা প্রভৃতির সমন্বয়ে জমে ওঠে এই পুজো। বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ভিড় করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.