|
|
|
|
গারো পাহাড়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া এএনভিসি জঙ্গিরা। গত কাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ গারো পার্বত্য জেলার নাঙ্গালবিবরা বাজারে এএনবিসি সংগ্রামপন্থী জঙ্গিরা পুলিশের গাড়ি ও সাধারণ গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। জখম হয়েছেন তিনজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাদের সূত্রপাত তোলাবাজি নিয়ে। বাজারে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করতে এসেছিল জঙ্গিরা। কয়েকজন ব্যবসায়ী টাকা না দেওয়াতেই ক্ষিপ্ত জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। হাটবার থাকায় বাজারে তখনও বহু লোক ছিলেন। একটি পুলিশ ট্রাকও এলাকা পার হচ্ছিল। চার জঙ্গি চালককে লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালাতে থাকে। তবে কপালজোরে চালক ও সামনে বসা হাবিলদার অক্ষত থাকেন। পরে মাছের বাজারে গুলি চালাতে চালাতে জঙ্গলে পালায় জঙ্গিরা। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক গাড়িচালক ও গ্রাম রক্ষী বাহিনীর এক সদস্য। গুলিতে জখম ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ দিকে, নিজেদের ক্ষমতা দেখাতেখোদ পূর্ব গারো পাহাড়ের এসপির মায়ের বাড়ির দরজায় ল্যান্ডমাইন পুঁত রেখে এল জিএনএলএ জঙ্গিরা। গুলি চালাল তাঁর বোনের বাড়িতেও। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই, পুলিশ কর্তার বাড়িতে জঙ্গিদের এমন সদর্প হামলায় মুখ পুড়ল পুলিশের। কেবল তাই নয়, মাইন থাকার কথাও, খোদ জিএনএলএ সেনাধ্যক্ষ সোহন ডি শিরা নিজে, এসএমএস করে এস পি জেরি এফ কে মারাককে জানান। তারপরেই, পুলিশ তড়িঘড়ি প্রবেশ পথের মাটি খুঁড়ে শক্তিশালী ল্যান্ডমাইনটি উদ্ধার করে।
সোহন জানান, তাঁদের ঘাঁটিতে, ৫ নভেম্বরের পুলিশি হানার জবাব দিলেন তাঁরা। এরপর ফের হানা হলে, ‘জবাব’ও মারাত্মক হবে। কেবল মাইন পোঁতাই নয়, গতরাতে, জঙ্গিরা, মারাকের মা ও বোনের বাড়ির বাইরে হাজির হয়ে এলেপাথাড়ি গুলি চালায়। তবে, কেউ হতাহত হননি। জঙ্গিদের খোঁজে কোবরা ও সোয়াট কম্যান্ডোরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। মারাকের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|