|
|
|
|
মমতার প্রশংসায় আডবাণী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেরলে গিয়ে সিপিএমকে বিঁধে আজ ফের নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাংসা করলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিরুঅনন্তপুরমে আরএসএস প্রভাবিত একটি সংগঠনের সভায় আডবাণী আজ বলেন, “শুধু এক জন মানুষের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও লড়াইয়ের ফলেই পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকের কমিউনিস্ট শাসনের পতন ঘটেছে।”
আডবাণীর এই মমতা-প্রশস্তি নিছক প্রসঙ্গক্রমে ঘটেছে বলে মানছেন না রাজনীতিকরা। তাঁদের মতে, এর মধ্যেও আডবাণীর কৌশল রয়েছে।
মমতা ইউপিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর থেকেই বিজেপি আশা করছে, ভবিষ্যতে তিনি ফের এনডিএ-তে যোগ দিতে পারেন। বিজেপি ইউপিএ-র যে সব ‘জনবিরোধী’ নীতি নিয়ে সরব, জোটে থাকার সময় থেকেই মমতাও সেই সব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মমতাকে নৈতিক সমর্থন জুগিয়ে এসেছে বিজেপি। আডবাণীরা জানেন, দিল্লিতে ক্ষমতা পেতে চাইলে এনডিএ-র প্রসার ঘটাতে হবে। আর তাই তাঁরা মমতার মতো পুরনো শরিককে চটাতে নারাজ।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব বিলক্ষণ জানেন, মমতা যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু তাস খেলছেন, তাতে তাঁর এনডিএ-তে ফেরা কঠিন। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপি ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি যেতে পারলে আঞ্চলিক দলগুলিই তুরুপের তাস হতে পারে। এ কথাও মাথায় রেখে এগোচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আর সে কারণেই শাহনওয়াজ হোসেন ও রাজীবপ্রতাপ রুডির মতো বিজেপি নেতারা দলের নির্দেশে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মমতার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, মমতা সম্প্রতি দিল্লিতে এসে রুডি-শাহনওয়াজের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করে গিয়েছেন।
এ দিন আডবাণী বলেন, ১৯০৭-এ তিনি যখন প্রথম সংসদে যান, কমিউনিস্ট সাংসদরা ঠাট্টা করে তাঁর কাছে জানতে চাইতেন, ‘আপনার দলের কোনও ভবিষ্যৎ আছে নাকি?’ বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার কথায়, আজ গোটা পৃথিবীতেই কমিউনিস্ট শাসনের পতন হচ্ছে। এ দেশেও তারা শুধু ত্রিপুরায় টিমটিম করছে। আর বিজেপি-ই দেশের ভবিষ্যৎ। |
|
|
|
|
|