আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী ১৩ তম শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ১৪ টি দেশের ২২টি ছবি উৎসবে দেখানো হবে। ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত দীনবন্ধু মঞ্চে ছবিগুলি দেখতে পারবেন উৎসাহীরা। উদ্বোধনী ছবি পোলান্ডের “টুমরো উইল বি বেটার”। ছবির পরিচালক ডোরটা কেজিয়েরজওস্কা এবং প্রযোজক আর্থার রেইনহার্ট উপস্থিত থাকার কথা। উৎসবের উদ্বোধন করবেন চলচ্চিত্র পরিচালক সুজয় ঘোষ। উপস্থিত থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ডিরেক্টর যাদব মণ্ডল, শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, মাটিগাড়ার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার-সহ অনেকেই। গৌতমবাবু বলেন, “কলকাতা অন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গ হিসাবেই শিলিগুড়িতে এই চলচ্চিত্র উৎসব। কলকাতা উৎসবে দেখানো হয়েছে এমন বিভিন্ন ছবি শিলিগুড়িতে দেখতে পারবেন উৎসাহীরা।” উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, উৎসবে আফ্রিকার ছবিও থাকছে। ৮ টি বাংলা ছবি থাকছে। বাকি ১৪ টি বিদেশি ছবি। ফ্রান্স, গ্রীস, জাপান, স্পেন, সার্বিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের ছবি দেখানোর কথা রয়েছে। প্রতিদিন ৩টি ‘শো’-বেলা ১টা, ৪টা এবং ৭ টা থেকে। শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটির উদ্যোগে এই চলচ্চিত্র উৎসব। সহায়তা হাত বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতর, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি, শিলিগুড়ি পুরসভা এবং দীনবন্ধুমঞ্চ উপদেষ্টা কমিটি। চলচ্চিত্র উৎসবের পর আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরু হবে বলে এ দিন গৌতমবাবু জানিয়েছেন। তিনি জানান, বালুরঘাট এবং কোচবিহার জেলার উপর এ বার উৎসবের ‘ফোকাস’ থাকছে। পাহাড়েও একদিন অনুষ্ঠান হবে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চকে জাতীয় মানের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই ভবনের উপরের তলায় একটি অব্যবহৃত হলঘর হয়েছে। সেটি সংস্কার করে চালু করা হবে। ‘লিফ্ট’-এর ব্যবস্থাও থাকবে। এই মঞ্চের ‘সাউন্ড সিস্টেম’ উন্নত মানের করার কথা আগেই জানানো হয়েছিল। তবে গত ১ বছরে সেই কাজ করা যায়নি। দ্রুত সেই কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। শিলিগুড়ির শক্তিগড় এলাকায় শৈলন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার এবং ক্লাবে যে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হচ্ছে তার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা। তাঁর হাত দিয়েই সে সময় ওই প্রেক্ষাগৃহের উদ্বোধনের কথা ভাবা হচ্ছে। শহরের উত্তরাংশেও একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে গৌতমবাবু আশ্বাস দিয়েছেন। |