টুকরো খবর
ডাক পেলেন না জেলা সভাপতি
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্য এল নানুরে। রবিবার দলের ব্লক সম্মেলনে ডাক পেলেন না দলের জেলা সভাপতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নানুর এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্য আসে। বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের বেশ কিছু সদস্য দলবদল করে এবং অনাস্থা এনে এলাকার বেশ কিছু পঞ্চায়েত তৃণমূল নিজেদের দখলে আনে। তারপর সেই পঞ্চায়েতগুলি পরিচালনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের সঙ্গে নানুর ও কেতুগ্রামের বিধায়ক গদাধর হাজরা ও শেখ শাহনওয়াজের অনুগামীদের। গদাধর হাজরা গোষ্ঠীর অভিযোগ, পুরনো তৃণমূল কর্মীদের উপেক্ষা করে ফব তথা বামফ্রন্ট থেকে আসা কর্মীদের জেলা সভাপতি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দলের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলগতভাবেই নেওয়া হয়েছে। আর নানুর ব্লক সম্মেলন সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।” নানুরের ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী, রামপুরহাটের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্ধ্যোপাধ্যায়, সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ, নানুরের বিধায়ক গদাধর হাজরা, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। জেলা সভাপতিকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল না সে ব্যাপারে দলের নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, “এর আগে বেশ কিছু কর্মসূচিতে অনুব্রতবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। তা ছাড়া তাঁর উপর দলীয় কর্মীরা নানান কারণে ক্ষুদ্ধ। তাই আমরা তাঁকে আমন্ত্রণ জানাইনি।” মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী অবশ্য দলের গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে সব গোষ্ঠীকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন।

নলহাটিতে অবরোধ
রাস্তা সংস্কারের কাজে গাফিলতির অভিযোগে মাড়গ্রাম থানার কালুয়া মোড়ে রামপুরহাট-দুনিগ্রাম রাস্তায় ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ করলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শনিবারের ঘটনা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাস্তাটি দীঘদিন পর সংস্কার হচ্ছে। অথচ সংস্কারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত এস্টিমেট মানা হচ্ছে না। রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “রাস্তা সংস্কারে কীভাবে, কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে তা রাস্তার পাশে ফলকে উল্লেখ করতে হবে। রাস্তাটির কাজ দেখার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে বলা হয়েছে।” পূর্ত দফতরের (সড়ক) রামপুরহাট শাখার সহকারী বাস্তুকার সুজয় রায় প্রতিহার বলেন, “রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেননি। রাস্তা সংস্কারের কাজ ঠিকমত হচ্ছে কি না সেটা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”

প্রতিবাদ মিছিল
অবশেষে লোবা থেকে সরানো হচ্ছে পুলিশ ভ্যান।—নিজস্ব চিত্র।
লোবায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এই দাবিতে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার রামপুরহাটে মিছিল করল আই এন টি ইউ সি। পরে সংগঠনের সদস্যরা রামপুরহাট থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি দেন। তাঁরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত, আহতদের ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, শিল্পমন্ত্রীর অপসারণ-সহ নানা দাবিতে মিছিল করেন। সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ মনি বলেন, “অবিলম্বে দাবিগুলি কার্যকর করতে হবে।” তাঁদের দাবিগুলি কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পাকা রাস্তার দাবি
রাস্তাটির উপর নির্ভরশীল বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় পনেরোটি গ্রামের মানুষ। ওই রাস্তাই তাঁদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমও। কিন্তু মোরামে তৈরি সেই শিবপুর-পলশা রাস্তাটির বেহাল দশায় বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। রাস্তাটি পাকা করা হলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার পাশাপাশি দুই জেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও হবে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসন পাকা রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে উদাসীন। বারবার আবেদন করলেও লাভ হয়নি। সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপির বিনয় সাহা বলেন, “রাস্তার বিষয়ে জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তাটি পাকা করা যায় কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.