শহরকে যানমুক্ত করার বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে যানজটেই ঘণ্টা দুয়েক আটকে পড়লেন প্রশাসনের কর্তারা। সেই যানজটে আটকে পড়লেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রীও। শনিবার দুপুরে বোলপুর শহর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল।
বোলপুর শহরের ব্যস্ত রাস্তায় দিনভর মালবাহী বড় গাড়ি ঢুকে পড়ায় যানজট এখানকার নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার দুপুরে বোলপুর পুরভবনে বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে যাওয়ার পথে বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি ও এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী যানজটে আটকে যান। ঘণ্টা খানেক পরে তাঁরা পুরভবনে পৌঁছনোর পরে বৈঠক শুরু হয়। কলকাতা যাওয়ার পথে নানুর-চণ্ডীদাস রোডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কাছে যানজটে আটকে যায় রাজ্যের পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা রূপায়ণ দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের গাড়িও। রাস্তার পাশে তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যে যান নিয়ন্ত্রণও করেন।
বৈঠকের পরে পুরপ্রধান তৃণমূলের সুশান্ত ভকত বলেন, “যানজট এড়াতে পুরকর্মীদের সহায়তা চেয়েছিল পুলিশ। সকাল ও বিকেলে ১০ জন করে অস্থায়ী পুরকর্মীকে যান নিয়ন্ত্রণে পাঠানো হবে।” তিনি জানান, শহরের প্রবেশ পথে ত্রিশূলাপট্টি, দর্জিপট্টি, চিত্রামোড়, কাশিমবাজার, মুলুক সিনেমাতলা-সহ একাধিক জায়গায় সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের ভিতর ভারী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী তিন চাকার মালবাহী গাড়িও নিষিদ্ধ। টাউন সার্ভিস বাস এবং অন্যান্য সরকারি বাস যাতে চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে না থাকে, তার জন্য ঘুরপথের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বৈঠকে প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও কাউন্সিলররা, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন। মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “পুলিশ ও পুরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যানজট কাটাতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, আজ সোমবার থেকে ওই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এসডিপিও বলেন, “বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্যের উদ্যোগে যান নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাজনিত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “জরুরি কাজে কলকাতা বেরিয়ে যানজটে আটকে পড়েছিলাম। যানজট সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” |