চলেছিল গুলি, গ্যাস। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখনও এলাকার ৫ বাসিন্দা। আটকে রাখা মাটি কাটার যন্ত্র উদ্ধারে এসে মঙ্গলবার ভোর রাতে লোবায় জমি আন্দোলনের সমর্থনে থাকা এলাকাবাসীদের উপর বিতর্কিত পুলিশি আভিযানের ঘটনা এখনও টাটকা। এই ঘটনাকে ঘিরে এখনও সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আসা যাওয়া এখনও সমানে চলছে। চলছে ভবিষ্যতের কর্মপদ্ধতি নিয়ে কৃষিজমি রক্ষা কমিটির ধর্না মঞ্চে চলছে আলোচনাসভা। এতকিছুর মধ্যে লোবা গ্রামের বিখ্যাত কালীপুজোয় কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানাচ্ছেন সকলেই। প্রস্তুতি চলছে পুরোদমেই। ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন অত্মীয়স্বজনেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, শতাব্দী প্রাচীন এই কালীপুজো এবং মেলা দেখতে ভিড় জমান সম্প্রদায় নির্বিশেষে গোটা আঞ্চলের মানুষ। এই কালী পুজো মূলত ঘোষ পরিবারের হলেও দীর্ঘদিন আগেই তা সর্বজনীনের চেহারা নিয়েছে। |
নতুন করে সংস্কার হয়েছে লোবা-কালী মন্দিরের। ওই মন্দিরের পাশে থাকা শিব মন্দির থেকে রবিবার সকালে আনা হল দেবীর পাষাণ মূর্তি। পাশেই তৈরি হচ্ছে কালী প্রতিমা। ঘোষ পরিবারের সদস্য কাঞ্চন ঘোষ বলেন, “অন্তত ৫০০ বছরের এই পুজোর প্রচলন। এলাকার প্রাচীনতমও বটে। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন থেকে তৈরি হতে থাকা এই মূর্তি পুজোর দিন বেদিতে বসানোর আগেই চক্ষুদান করা হয়।” এত কিছুর পরেও একই ভাবে মহাসমারহে কালী পুজো হবে সেটাই সবাই বিশ্বাস করছেন। সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয়, লোবায় যেটা নিয়ে আন্দোলন সেই কয়লাখনি গড়তে আসা সংস্থাকে যাঁরা সংস্থার শর্তে জমি দিয়েছেন বা তাঁদেরকে সমর্থন করেছেনস্পষ্ট করে বললে এলাকায় যে সব পরিবার ওই জমি আন্দোলনের বিপক্ষে মানসিক ভাবে নিজেদের মধ্যে দুরত্ব থাকলেও সেটা কোনও অন্তরায় হবে না। এলাকার মানুষের এই দাবি যে মিথ্যা নয় যখন দেখা যায় মন্দিরের আন্যতম পুরোহিত কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা অশিস মিশ্র বা আন্দলোনের বিপক্ষে থাকা ঘোষ পরিবারের এক সদস্য উজ্জ্বল ঘোষ-উভয়েই দাবি করেন গত ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে কালী পুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। |