‘শরীর শরীর! তোমার মন নেই কুসুম?’ প্রশ্ন তুলেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের নায়ক। ওই কথায় যেন মনে করিয়ে দিল, রামপুরহাটের ‘দি নৈবদ্য’ সংস্থা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রক্তকরবী পুরমঞ্চে ‘অনুভবের জলছবি’ শিরোনামে অনুষ্ঠান করল তারা। সেখানে ‘মন’কে নিয়ে আঠারটি বিভিন্ন ধরনের গানের কোলাজ পরিবেশন করল সংস্থা। কিছু গানের সঙ্গে ছিল নাচও। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার চিকিৎসক অভিজিৎ রায় বলেন, “চিকিৎসকেরা অসুস্থ রোগীর শরীর নিয়ে চিকিৎসা করেন। কিন্তু সেখানে মনও যে একটা বড় বিষয়, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাবা হয় না। কিন্তু এ বার ভাবার সময় হয়েছে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেই অনুষ্ঠান।”
|
যে কোনও মঞ্চ সফল নাটকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় তার আবহ সঙ্গীত। দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর ধরে নিপুণ ভাবে নাটকের আবহ সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করে আসছেন অপূর্ব দাস। অপূর্ববাবু বর্তমানে রামপুরহাট হাইস্কুলের শিক্ষক। থাকেন রামপুরহাটেই। এলাকার বিভিন্ন নাট্য সংস্থায় বেশ কিছু নাটকে আবহ সঙ্গীত নির্মাণের কাজও করছেন। আলো তৈরি করার পাশাপাশি অপূর্ববাবু দক্ষ নাট্য পরিচালকও। রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সাহাপুর গ্রামে বনবাস করার সময় ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন বীণাপাণি নাট্য সংস্থা। ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করেছেন নাটক পরিচালনার কাজ। তবে শুধু মাত্র পেশাদার ক্ষেত্রেই নয়, রামপুরহাট হাইস্কুলের পড়ুয়াদের নিয়েও মঞ্চস্থ করে ফেলেছেন প্রায় ১৯টি একাঙ্ক নাটক। যার মধ্যে ৬টি একাঙ্ক নাটকের রচয়িতাও তিনি। অপূর্ববাবু নাটকের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কলকাতার নাট্য অ্যাকাডেমি থেকে।
|
সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় স্মরণে অনুষ্ঠান করল গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের সিউড়ি শাখা। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জেলা পরিষদ সভাকক্ষের ওই অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাহিত্যিকের নানা লেখা নিয়ে আলোচনা হয়। কবির একটি দীর্ঘ কবিতা পাঠ করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও আবৃত্তিকার চন্দন চট্টোপাধ্যায়।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
বাঁকুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে আদিবাসী নৃত্য উৎসব ও প্রতিযোগিতা হল সারেঙ্গায়। রবিবার মিশন ময়দানে দিনভর এই অনুষ্ঠানে সারেঙ্গা ব্লকের ৬৯টি দলের ২৪০০ জন প্রতিযোগী যোগ দেন। ভুয়াং, সারপা, করম ও পরব- এই চারটি আদিবাসী নৃত্যের জন্য পৃথক পৃথক বিভাগে দলগত ভাবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার, এসডিপিও (খাতড়া) কল্যান সিংহ রায়, সারেঙ্গা থানার আইসি রজতকান্তি পাল প্রমুখ। পুলিশ সুপার বলেন, “আদিবাসী লোক-সংস্কৃতি ও লোক-নৃত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই উৎসব ও প্রতিযোগিতা।”
|
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মরণ সভা হল আদ্রায়। শনিবার সন্ধ্যায় আদ্রার নর্থ ইনস্টিটিউটে ‘লহ প্রণাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠাটি হয়। উদ্যোক্তা হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির আদ্রা শাখা। মোমবাতি জ্বালিয়ে কবির স্মরণে গান ও আবৃত্তি হয়। স্মৃতিচারণা ও আলোচনাসভা হয়। পুরুলিয়া জেলা বইমেলার উদ্বোধন থেকে বিভিন্ন সময়ে সুনীলবাবু এখানে এসেছেন। সেই সূত্রেই পুরুলিয়ার বহু কবি সাহিত্যিকের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগোযোগ ছিল।
|
বিষ্ণুপুরের নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ঝংকার নৃত্য অ্যাকাডেমি’র ১৯ তম বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল শনিবার। যদুভট্ট মঞ্চে সংহিতা বর্মনের পরিচালনায় রবীন্দ্র, নজরুল, সমবেত, লোকনৃত্য, কত্থক পরিবেশন করেন সংস্থার ছাত্র-ছাত্রীরা।
|
• বড়জোড়া শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবপ্রচার সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলন হল শনিবার। ভজন পরিবেশন ও কথামৃত পাঠ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিরন্তরানন্দ।
• রবিবার বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক্ট জার্নালিস্ট ক্লাবের বিজয়া সম্মেলন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। উপস্থিত ছিলেন আতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীরূপেশ, বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা।
• শনিবার পুরুলিয়া নব কিশলয় সঙ্ঘের বিজয়া সম্মিলনে বিজন মঞ্চে ‘কিছু গান, কিছু কথা’ হয়ে গেল। যোগ দিয়েছিলেন সঙ্ঘের শিল্পীরা।
|
• চাতক সাহিত্য গোষ্ঠীর উদ্যোগে সম্প্রতি বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহিতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। গান-নাচ পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। উপস্থিত ছিলেন গল্পকার মহামায়া মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। ওই গোষ্ঠীর একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
• হুড়া ব্লকের মা সারদা নির্বাণ মঠ লোকশিক্ষা ট্রাস্টের উদ্যোগে মাগুড়িয়ায় গত ৫ নভেম্বর দিনভর নানা সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। পুরুলিয়ার লোক সংস্কৃতির অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাতে ছৌনৃত্যও হয়।
• রবিবার পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে আনন্দধারার উদ্যোগে ‘মধুর ধ্বনি বাজে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান হল। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন হয়।
|
ছবি: শুভ্র মিত্র, প্রদীপ মাহাতো, উমাকান্ত ধর ও নিজস্ব চিত্র। |