পরকিয়ায় জড়িয়ে বিবেকদংশনে ভুগছেন তিনি। আর সে কারণেই সিআইএ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন ডেভিড পেত্রাইউস। কিন্তু মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে অন্য কথা। তা হল, এফবিআইয়ের তদন্তে তাঁর পরকিয়া সম্পর্ক নিয়ে জটের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়াতেই বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন পেত্রাউস। ব্যক্তিগত সম্পর্ক শুধু নয়, উঠে এসেছে সামরিক বাহিনীর নিয়মকানুন সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নও। ইস্তফা তার জেরেই।
কিন্তু সিআইএ কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কারণটা তী? এফবিআই জানাচ্ছে, আদতে তদন্তটা ছিল দুই মহিলার মধ্যে ই-মেল চালাচালি নিয়ে। তাঁদের এক জন পলা ব্রডওয়েল। বছর চল্লিশের এই মহিলা দু’টি সন্তানের মা। পড়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার আগে ছিলেন সেনাবাহিনীতে। গিয়েছেন আফগানিস্তানেও। বহুবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িত এই পলা আপত্তিকর মেল পাঠাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন সিআইএ-প্রধানের এক মহিলা সহকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে এফবিআই। তাতেই বেরিয়ে আসে পেত্রাউস ও পলা প্রণয়-বৃত্তান্ত। তবে অভিযোগকারিনী মহিলার নাম-ধাম-পরিচয় জানায়নি এফবিআই। জানায়নি পেত্রাউসকে ঘিরে পলার সঙ্গে বিরোধের কারণ কী, তা-ও। |
পেত্রাইউস ও পলা ছবি: এএফপি
|
পেত্রাউসের এই আচমকা ইস্তফা ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা এবং রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ৯/১১-র পর এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পান তিনি। তার পর থেকে পেত্রাউস তাঁর কাজের জন্য এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে ভবিষ্যতে রিপাবলিকানদের তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করেন অনেকে। ভাগ্যের মোড় যে এ ভাবে ঘুরে যাবে পেত্রাউস নিশ্চয়ই কল্পনাও করেননি। বুধবার ৬০-এ পা দেন তিনি। পর দিনই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করেন। এর পর নিজেই সহকর্মীদের ডেকে জানান তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। তিনি এ কথাও বলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার মতো কাজ করে তিনি অপরাধবোধে ভুগছেন। এক জন স্বামী বা সিআইএ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে যে এই ধরনের ব্যবহার অপ্রত্যাশিত সে কথাও স্বীকার করেন তিনি।
পলার সঙ্গে তাঁর আলাপ ২০০৬ সালে। পেত্রাউসের পদত্যাগের পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শনিবারই ছিল পলার ৪০-তম জন্মদিন। তবে আমন্ত্রিতরা আজ সকালেই ই-মেল পেয়েছেন। তাতে নিমন্ত্রণ বাতিলের কথা জানানো হয়েছে।
|