সভাপতি পদ নিয়ে গোলমালের জেরে রবিবার স্থগিত হয়ে গেল বর্ধমান জেলা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা। এ দিন ওই পদ নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূলের গোলমালের জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় সভা।
অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ থেকে সংস্থার সভাপতি রয়েছেন সিপিএমের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ জীবন রায়। এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুর্গাপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে সভাপতি পদে বসানোর দাবি জানানো হয়। তাই নিয়েই তৈরি হয় মতান্তর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার খুদেদের নিয়ে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে দুর্গাপুরে গড়ে উঠেছিল ‘দুর্গাপুর চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমি অফ কালচার’। দীর্ঘ দিন ধরেই ওই সংস্থার অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক জীবনবাবু। ওই সংস্থার জন্য তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যও করেন তিনি। সম্প্রতি সিধো-কানহু স্টেডিয়াম থেকে ওই অ্যাসোসিয়েশন উঠে এসেছে সেখানেই। রবিবার সেখানেই বসেছিল বর্ধমান জেলা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা।
তৃণমূলের দাবি, ‘বর্ধমান জেলা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন’কে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই অফিস তুলে আনা হয়েছে দুর্গাপুর চিলড্রেন্স অ্যাকাডেমিতে। অবিলম্বে সভাপতির পদ থেকে জীবনবাবুকে সরে যাওয়ার দাবি জানান তৃণমূল সমর্থকেরা। নিখিল মুখোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূলকর্মীর দাবি, “দীর্ঘ দিন ধরে উনি ওই পদে রয়েছেন। নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা ওই পদের জন্য বিধায়ক তথা শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছি।” অপূর্ববাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে উনি ওই পদে আসীন। কিন্তু টেবিল টেনিসের উন্নয়নে তেমন কিছুই করেননি। রাজ্য জুড়ে যে ভাবে নতুন করে খেলাধুলোর চর্চা শুরু হয়েছে সেই লক্ষ্যে কাজ করুক বর্ধমান জেলা টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনও। উনিও থাকুন আমাদের সঙ্গে। কিন্তু শুধু পদ আঁকড়ে ধরে থাকলে চলবে না।”
জীবনবাবুকে উদ্দেশ্য করে কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন বলেও অভিযোগ। তবে তৃণমূলের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন সংস্থার সদস্যদের অনেকেই। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ জীবনবাবু বলেন, “বহু দিন ধরে বিভিন্ন কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। কোনও দিন এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি। সংস্থার সভাপতি আমি থাকব কি না, তা ঠিক করবেন সদস্যেরা। সে ব্যাপারে আমার কিছুই করণীয় নেই।” |