ছবি: স্লিপ নো মোর
দেশ: আমেরিকা
পরিচালক: ডেভিড ক্রোনেনবার্গ
সাল: ২০১২
তাঁর স্ট্রেচ লিমোতে চেপে চুল ছাঁটতে বেরিয়েছেন এরিক। হ্যাঁ, লিমুজিন। এ তো আর পাশের বাড়ির গদাইবাবু নয় যে পাড়ার মোড়ের বেঁটে টুলটায় থেবড়ে বসে বগলটা বাড়িয়ে বলবেন কামাও হে মুকুন্দ! ইনি এরিক প্যাকার। ফিনান্স মার্কেটের বেতাজ বাদশা। চাইলে মহাকাশযানে চড়েও চুল কাটতে যেতে পারেন! অবশ্য এরিকের লিমুজিনের অন্দরটা প্রায় স্পেস-শিপের মতোই। চার দিকটা সাউন্ডপ্রুফ। বাইরের দুনিয়ার কোনও শব্দ সেখানে ঢোকে না। ডিসপ্লে স্ক্রিনের জেলির মতো থকথকে নীলচে আলোয় গাড়ির ভেতরের আবছা অন্ধকার ভরে থাকে। স্ক্রিনের ওপর অনেক চিহ্ন, সঙ্কেত, গ্রাফিক চার্ট নড়াচড়া করে। অজস্র সংখ্যার নাচন চলে। সংখ্যার ওই নাচনকোঁদনই যে ক’দিন পরে প্রলয়নাচন হয়ে ধনতন্ত্রের গর্বের পাঁচিল ওয়াল স্ট্রিটে ধস নামাতে যাচ্ছে, তার আভাসও এরিক ওই লিমুজিনের গর্তে বসে পাচ্ছিলেন!
গর্ত, না কি গর্ভ? এরিকের স্ট্রেচ লিমোকে কেউ কেউ কফিনও বলেছেন, যার ভেতর এরিক যেন সাজিয়ে নিয়ে চলেছেন এলিট পুঁজিবাদের প্রাচীন লাশ। অবশ্য ছবির ক্লাইম্যাক্সে এসে আমরা বুঝে যাই, এরিক এত ক্ষণ ধরে যেটা বয়ে নিয়ে এলেন, সেটা আসলে তাঁর নিজেরই শব। তিনি টের পাননি, কিন্তু লিমুজিন তাঁকে পৌঁছে দিয়ে গেল তাঁর নির্দিষ্ট কবরখানায়! না কি এরিক জানতেনই, মৃত্যুই তাঁর গন্তব্য! তাই মাঝরাস্তাতেই তিনি সরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সিকিয়োরিটি চিফ-কে, যে দিনরাত তাঁর ওপর নজরদারি করেই যেত? এরিকের গল্প কি তবে গ্লোবাল পুঁজির বেঘোরে মৃত্যু, খুন বা আত্মহত্যার কিস্সা?
ডন ডেলিলো যখন ২০০৩-এ ‘কসমোপলিস’ উপন্যাসটা লিখছেন, ৯/১১-র স্মৃতি ভয়ানক টাটকা। সেই একই উপন্যাস থেকে এ বছর ক্রোনেনবার্গ যখন ছবি করছেন, একটা মহা, একটা মেজো দু’দুটো মন্দায় দুনিয়াভর মার্কিন পুঁজির শ্বাস উঠেছে। এরিকের লিমোর ভেতরটাতেও তাই দম আটকে আসার মতোই একটা অবস্থা তৈরি করেছেন পরিচালক। তাঁর সাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা চোখ কপালে তুলে জানতে চেয়েছিলেন, ‘সত্যি বলছেন, গাড়ির ভেতরে কোনও রকম শব্দ আপনি চাইছেন না? চাকার আলতো ঘড়ঘড়, মোটরের হালকা গুমগুম কিচ্ছু না?’ না, কিচ্ছু না। উনি চেয়েছিলেন, গাড়ির ভেতরটা হোক এরিকের নিজস্ব পৃথিবী তার দুর্গ, বাঙ্কার, বম্ব-শেল্টার, কয়েদখানা। বাইরের ঝামেলা হট্টগোল ছ’দরজার এ ধারে আসবে না। কাচের গায়ে জলের মতো সব্জেটে জানলার ও-পারে আলতো গড়িয়ে যাবে নিউ ইয়র্কের রাক্ষুসে ট্রাফিক। ব্যাক-প্রোজেকশনে পিছলে যাবে ম্যানহাটানের গাঁকগাঁক ব্যস্ততা।
এরিক তাই লিমোর ভেতর বসে থাকেন রাজার মতো। এমনকী নিউ ইয়র্কের রাস্তায় পুঁজিবাদ-বিরোধী র্যালিও লিমোর ছাদে চড়ে ধাঁইধপাধপ নেত্য করেই ক্ষান্ত দেয়। যাওয়ার আগে সাদা গাড়িটার গোটা গায়ে স্প্রে-রঙ দিয়ে ‘পুঁজিবাদ নরকে যাক’ গোছের স্লোগান লিখে যায়। তাতে এরিকের ভারী বয়েই গেল। তিনি তো তখন লিমোর কোটরে কোম্পানির উপদেষ্টার সঙ্গে বাজারের ছ্যাঁচড়া দশা নিয়ে গভীর আলোচনা করছেন। হ্যাঁ, ‘রাজা’র দরবারও বসে লিমোর গর্তেই। সেখানে ছিপছিপে যুবতী আর্ট-ডিলারের সঙ্গে কাজের কথা শুরুর আগেই এরিক হাপুসহুপুস করে সেক্সটা সেরে নেন। ম্যানেজার
জেন’কেও তিনি গাড়িতে তোলেন মাঝরাস্তা থেকেই। জগিং-ফেরত জেনের শরীর ঘামে জবজবে। ও দিকে এরিক উদোম দেহে উপুড়। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। জেনের চোখে চোখ রেখে এরিক যখন ফ্লার্ট করছেন, ডাক্তার যন্ত্রপাতি লাগিয়ে তাঁর নিতম্ব দেখছেন। এরিকের শরীরটা সেই তালে আগুপিছু করছে, হাত দুটো ডানার মতো ছড়িয়ে আছে। জেনের দুই থাইয়ের ভাঁজে তক্ষুনি ফটাস করে ফেটে গেল একটা জলের বোতল। যেন অর্গ্যাজ্ম ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছল!
তার মানে কি ফিনান্স-পুঁজির দুনিয়াটা এই যৌনতার মতোই ফাঁপানো-বানানো? সাউন্ডপ্রুফ লিমুজিনের অন্দরেই সেটা নিশ্চিন্ত নিরাপদ? এক বার দরজা খুলে বেরলেই যাবতীয় হিংস্র আওয়াজ, যত গরিব-নিষ্কম্মা হিংসুটে লোকের চোরাগোপ্তা রাগ তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়বে? পরিচালক বলেছেন, এরিকরা এই ‘সময়টার প্রডাক্ট’ ‘স্পিরিট অফ টাইম্স।’ হবে হয়তো। তবে আমরা, হাঘরে তৃতীয় বিশ্বের লোকেরা, এরিকের ভূমিকায় ‘টোয়াইলাইট’-এর ভ্যাম্পায়ার নায়ক প্যাটিনসনকে দেখে, এরিক ও রক্তচোষা পুঁজিবাদকে একাকার করে নিতেই পারি। এই ‘সরলীকরণ’ আমাদের ঐতিহ্য, অধিকার!

২৬ জানুয়ারি ২০৬৭
আজমল কাসভ-এর ফাঁসি এ বার প্রায় নিশ্চিত। গতকাল মাঝরাত্রে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছেন, আর তিনি কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সেই সতেরো বছর বয়স থেকে কাসভকে খাইয়ে পরিয়ে ভারত সরকার লালন করে চলেছে কেন, বিভিন্ন মহল থেকে এ প্রশ্ন ওঠাও এখন পুরনো। কাসভের বয়স এখন আশি ছুঁই-ছুঁই, তাঁর ৮০% হার্ট ব্লক, একটা কিডনি অকেজো, হাঁটুতে আরথ্রাইটিস, চোখে গ্লুকোমা। গত সপ্তাহ থেকে তাঁর ঘন ঘন হেঁচকি উঠছে। রাষ্ট্রপতির ভাষায়, ‘এ বার নিজে নিজে টপকে গেলেই তো সাড়ে সর্বনাশ।’ ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়েও সরকার ধন্দে। স্ট্রেচারে শুইয়ে নিয়ে গিয়ে পিঠে বাঁশ বেঁধে খাড়া করে গলায় দড়ি পরাতে হবে, এমনটাই আন্দাজ করছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। ফাঁসি-বিরোধীরা পথে পথে তাঁদের বিখ্যাত বাঁশি-কাঁসি মিছিল আবার শুরু করেছেন, তাঁদের এই সাঙ্গীতিক প্রতিবাদের প্রায় পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল। প্রসঙ্গত, পঞ্চাশ বছর আগে তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ফাঁসি মকুবের ৯৭তম আবেদন নাকচ করার বয়ানে সই করার মুহূর্তে, আধখানা সই শেষ হতে না-হতে, পেনে কালি ফুরিয়ে যায়। স্বামী তুকতাকানন্দ-এর মন্ত্রশিষ্য হওয়ার দরুণ, এই ‘অপয়া’ ঘটনায় তিনি বেঁকে বসেন। পরবর্তী রাষ্ট্রপতিরা পূর্বসুরীর সম্মান রাখার দোহাই দিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলেন। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্রপতি এক সময় অন্য পার্টির বহু ক্যাডারকে ‘সগর্বে গাছে লটকেছেন’ এবং তাঁর ফাঁসিপ্রীতি সর্ববিদিত।
হোমওয়ার্ক জমা না দেওয়ার
দশটা দুর্দান্ত অজুহাত

১ পাড়ার ছাগলটা না খেয়ে মারা যাচ্ছিল।
তাই হোমওয়ার্ক খাইয়ে দিয়েছি।

২ কাগজ নষ্ট করলে গাছ মারা যায়। পরিবেশকে
ভালবেসে আর হোমওয়ার্ক করব না।


৩ জ্যোতিষী বলেছে, বাইশ তারিখ হোমওয়ার্ক
জমা দিলে টিচারের মারাত্মক অ্যাকসিডেন্ট হবে।

৪ ইংরিজিতে ভুল হচ্ছে। আমি হোস্টেলে
থাকি। ‘হোম’ওয়ার্ক করব কেন?


৫ আমি কাল বিষ খেয়ে মারা গেছি। আজ আমার ভূত এসেছে।


৬ ইউএফও চড়ে ভিনগ্রহের প্রাণী যখন
সামনের মাঠে নামল, তখনও মতলব
বুঝিনি। ও মা, হোমওয়ার্ক নিয়ে পালাল!

৭ আমার বাবা স্পাই, ভুল করে
তাঁর ‘ইনভিজিব্ল ইংক’ দিয়ে
হোমওয়ার্ক করে ফেলেছিলাম।

৮ পুরোটাই স্বপ্নে এক
বার করেছিলাম। বাস্তবে
আর ডবল খাটলাম না।


৯ হোমওয়ার্কটা এত ভাল লিখছিলাম,
ভাবলাম জমা দিলে আপনি
ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগবেন।

১০ দিদিমা হাপুস কেঁদে বললেন, আর ক’টা
দিনই বা আছি? আমার সামনে বসে আজ সারা দিন টিভি
দ্যাখ। গুরুজনের কথা কি অমান্য করতে হয়, বলুন স্যর?

• মুম্বই সাহিত্য উৎসবে (‘টাটা লিটরেচার লাইভ’) ‘থিয়েটারে আমার জীবন’ নিয়ে বলতে উঠে প্রায় পুরো সময়টাই ভারতীয় বংশোদ্ভুত লেখক ভি এস নঈপলের একই উৎসবে ‘জীবন কীর্তি পুরস্কার’ পাওয়ার তীব্র সমালোচনা করলেন নাট্যকার গিরীশ কারনাড। অভিযোগ, ভারত নিয়ে লেখা সব বইয়েই নঈপল বলেছেন, এখানকার সাহিত্য-রাজনীতি যাচ্ছেতাই একপেশে ও খারাপ, এ দেশের মুসলমানেরা ঘৃণ্য হামলাকারী বর্বর, আর তা ছাড়া এমন উচ্চ মার্গের যে ভারতীয় সঙ্গীত, অত বড় লিখিয়ের অনবদ্য গদ্যের কোত্থাও তার উল্লেখমাত্র নেই! নীচমনা, মুসলিম-বিদ্বেষী, সুরবধির নঈপলের এই পুরস্কার-প্রাপ্তি নিতান্ত না-হক। ক্রোধ চণ্ডাল। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য। কে বলেছে কোনও লেখকের লেখায় থাকতেই হবে এ দেশের সঙ্গীত নিয়ে এক কাঁড়ি প্রশস্তি, মিউজিকের রেফারেন্স নেই মানেই তা সুপাঠ্য বা সুবিবেচিত সাহিত্য নয় মোটে? কী লিখব কী লিখব না— তা লেখকের বেছে নেওয়ার অধিকার নেই? সমালোচকেরও আছে নিন্দের অধিকার, কিন্তু তা করব ওই উৎসবেরই লাইমলাইটে মাইক থাবড়ে, বক্তৃতার বেঁধে দেওয়া বিষয় বা শ্রোতাদের প্রত্যাশার তোয়াক্কা না করে? সহ-লেখকের লেখায় দুর্বিনয়ের পাল্টা দেওয়া যেত জবাবি লেখায়, প্রবন্ধে, নাটকে, এ হেন অ-শৈল্পিক অপরিমিতিতে নয়।

• বিলিয়নপতি বয়ফ্রেন্ডের পঞ্চাশতম জন্মদিনে তুমুল হইহল্লা মচিয়ে ‘পাটি অফ দ্য সেঞ্চুরি’ দিতে যোধপুর উড়ে এলেন মার্কিন সুপারমডেল নাওমি ক্যাম্পবেল। পাঁচ লক্ষ ডলার নিয়ে পার্টিতে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ গাইলেন ডায়ানা রস, জয়পুর থেকে ট্রাকে আনানো সাতটা হাতি নিয়ে ‘হেভিওয়েট সুপারগেস্ট’রা খেললেন এলিফ্যান্ট পোলো। সম্প্রতি এই হয়েছে চল। দুনিয়ার কোটিপতি সেলেবরা আপন ট্যাঁকের ও হরেক খামখেয়ালের জানান দিতে উড়ে আসছেন ‘ইন্ডিয়া’য়। হলিউডি অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস শুটিংয়ে এলেন হরি মন্দির আশ্রমে, নাক টিপে ফোঁসফোঁস করে ক’বার প্রাণায়াম আর সংস্কৃত মন্ত্র আউড়েই এমন বিমোহিত যে ধর্ম পাল্টে হিন্দুই হয়ে গেলেন, ও দিকে বাইরে প্রহরায় থাকা হেলিকপ্টার, বুলেটপ্রুফ গাড়ি আর সাড়ে তিনশো রক্ষীর চোটে স্থানীয়রা আশ্রমে সেঁধোতেই পারলেন না, নবরাত্রি গোল্লায় গেল। বেকহ্যাম ইয়াব্বড় ফন্টে ভুল সংস্কৃত বানানে বাঁ হাতে ট্যাটু করালেন স্ত্রীর নাম। ‘ইন্ডিয়া’ এঁদের কাছে শুধু ‘ইক্সোটিক’ লীলাক্ষেত্র, মানবিক-নান্দনিক ‘সেন্স’-এর দফারফা আর অর্থশ্রাদ্ধ করে অনর্থ পাকানোর জায়গা, আর ভারতীয় সংস্কৃতি হুজুগ মেটানোর হাতিয়ার।

লোমে ঢাকা চমরি গাই, বক্র দু’টি শিং
বেত্রের আঘাতে নাচে তিড়িং মিড়িং
মানেকা’জি ছুট্টে এসে বেত্র ভেঙে চুর
গাই-guy ভাই-ভাই, বান্ধি দিল্যা সুর

১¶ মানুষের সেরা বন্ধু।
২¶ জলাতঙ্কের ইঞ্জেকশন-আবিষ্কর্তার সেরা বন্ধু।

• একটি জাতির মহত্ত্ব ও নৈতিক প্রগতি বিচার করা যায় জন্তুদের প্রতি তার ব্যবহার দেখে।
মহাত্মা গাঁধী

• যত ক্ষণ না এক জন মানুষ একটি জন্তুকে ভালবাসছে, তার আত্মার একটা অংশ অ-জাগ্রত থাকে।
আনাতোল ফ্রাঁস

• এক জন গড় মানুষের চেয়ে এক জন গড় কুকুর অনেক ভালমানুষ।
অ্যান্ড্রু এ. রুনি

• জন্তুরা আমার বন্ধু, আমি আমার বন্ধুদের খাই না।
বার্নার্ডশ

• যখনই কেউ কসাইখানার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘ওঃ, এরা তো স্রেফ জন্তু’, তখনই আউশউইৎজ শুরু হয়।
থিওডোর অ্যাডোর্নো

• প্রঃ আচ্ছা গর্গরেফ, জন্তুদের খাওয়া কি উচিত?
গর্গরেফ: না খেলে বুঝতে কী করে শুয়োর গরু খাসি এত সুস্বাদু?
প্রঃ তাইলে নিরামিষাশীরা বোকা?
গর্গরেফ: অন্তত জগদীশ বোস পড়েনি এটুকু বলা যায়। আর, নটে শাক জোরে চেঁচায় না বলে তাকে মুড়িয়ে খেয়ে নেওয়া চলে, এ যুক্তিতে তো বোবাদের চাবুক মারাও মহৎ কাজের মর্যাদা পেয়ে যাবে!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.