|
|
|
|
তৃণমূলকে ঠেকাতে হলদিয়ায় নামছে সিটু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এ বার সিপিএমেরও গন্তব্য হলদিয়া। সেই কাজে তারা ময়দানে নামাচ্ছে দলের শ্রমিক সংগঠন সিটু-কে।
হাওড়ার শরৎ সদনে সিটু-র রাজ্য সম্মেলনের তৃতীয় দিন শনিবার হলদিয়া বন্দরের সমস্যা নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাবে হলদিয়া বন্দরের সঙ্কট ও সমস্যা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে। হলদিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক অসাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ নাব্যতার অভাব। সেই সমস্যা দূর করতে ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ভূমিকা রয়েছে, সেটা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের হাত ধরে হলদিয়া বন্দরে যে গোলমাল হচ্ছে, তারও প্রতিবাদ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে হবে এই মর্মে সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নকে নিয়ে সম্মেলন করার পরিকল্পনা সিটু নেতৃত্ব করছেন। সম্মেলনের ফাঁকে এ দিন সিটু-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেছেন, “হলদিয়া থেকে একটি সংস্থা কাজ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হল, তারা অন্য কোথাও গিয়ে আবার ব্যবসা করবে। কিন্তু ওই সংস্থা চলে যাওয়ার পরে যে শ্রমিকরা কাজ হারালেন তাঁদের নিয়ে আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।” হলদিয়া নিয়ে সিটু যেহেতু আসরে নামছে, সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে এ দিন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের নবগঠিত রাজ্য কর্মকর্তাদের কমিটিতে সেখানকার শ্রমিক নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে রাখা হয়েছে। তাঁর ভাবমূর্তি নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে প্রশ্ন থাকলেও হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের সমস্যা সামলানোয় তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে সিটু নেতৃত্ব মনে করছেন। ফের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী। সিটু-র রাজ্য সম্পাদক হিসেবে কালী ঘোষের জায়গায় এ বার এসেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক দাশগুপ্ত। নতুন কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহু। রাজ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ হিসেবে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী রঞ্জিৎ কুণ্ডু, সিপিএমের জলপাইগুড়ির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মানিক সান্যাল এবং দার্জিলিঙের প্রবীণ সিপিএম নেতা আনন্দ পাঠক। তিন জনেই অসুস্থতা ও বয়সের কারণে বাদ পড়েন বলে সংগঠন সূত্রে খবর। নতুন মুখ হিসেবে সম্পাদকমণ্ডলীতে এলেন উত্তরবঙ্গের জিয়াউল আলম এবং সুকুমারী ওঁরাও। |
|
|
|
|
|