|
|
|
|
নন্দীগ্রাম-কাণ্ড |
বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করলেন শুভেন্দু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম ঘটনার সিবিআই তদন্ত নিয়ে এবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর সিপিএমের নন্দীগ্রাম পুনর্দখল অভিযানে গোকুলনগরের করপল্লিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে সশস্ত্র হামলায় নিহতদের স্মরণসভা ছিল শনিবার। এ দিন সভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, “নন্দীগ্রামের গণহত্যায় ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করেছিল। কিন্তু ওই ঘটনা নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে ঘটনায় জড়িত অধিকাংশ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও সিপিএম নেতাদের আড়াল করা হয়েছে। আমরা চাই কর্মরত বিচারককে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হোক।”
এ দিন সভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, “১৪ মার্চের ঘটনায় নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া ও তেখালি দিয়ে পুলিশ বাহিনী ও সিপিএমের সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই তদন্ত রিপোর্টে শুধুমাত্র তেখালির অধিকারীর পাড়ায় হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অথচ যেখানে ১১ জন নিহত হয়েছিল সেই সোনাচূড়ার ভাঙ্গাভেড়ায় পুলিশ অভিযানে থাকা তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল আইজি অরুন গুপ্ত, মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি এন রমেশবাবু, পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি অনিল শ্রীনিবাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী-সহ পদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য কোন অনুমোদন চাওয়া হয়নি। সিবিআই তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।”
এদিন স্মরণসভার আগে নন্দীগ্রামের তেখালি সেতু থেকে গোকুলনগর করপল্লি পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে পদযাত্রা করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সমর্থকরা। স্মরণসভায় ছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, শ্রীকান্ত মাহাতো, রঞ্জিত মণ্ডল, অর্ধেন্দু মাইতি, দিবেন্দু অধিকারী, এসইউসি নেতা মানব বেরা, দিলীপ মাইতি প্রমুখ। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মধ্যে থাকা কংগ্রেস ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দলের কোনও নেতা এ দিন অবশ্য সভায় হাজির ছিলেন না। সভায় প্রায় দু’হাজার লোক হয়েছিল। |
|
|
|
|
|